কথাটার মধ্যে গভীর অভিমান আছে। সেই অভিমানের ভেতরে রয়েছে অসংখ্য যুক্তি। যদিও ৩ নভেম্বর থেকে সেসব যুক্তিকে মিথ্যা মনে করছে দেশের অন্যতম সুকণ্ঠী কনকচাঁপা ভক্তদের। কারণ, ৮ বছর অপেক্ষার পরেও এই শিল্পীর ফলাফলের ঘর এখনও শূন্য।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মোট ২৩৭টি আসনে একক প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে দলটি। তবে এই তালিকায় স্থান পাননি দেশের অন্যতম কণ্ঠশিল্পী তথা বিএনপির সক্রিয় নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও সদর) আসন থেকে মনোনয়নের আশায় ছিলেন কনকচাঁপা। কিন্তু সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষিত তালিকায় তার নাম আসেনি। জানা গেছে, ওই আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা আপাতত স্থগিত রেখেছে দল। যার ফলে এখনও আশা বেঁচে আছে খানিকটা।
কনকচাঁপামনোনয়ন না পাওয়া কিংবা স্থগিত রাখা নিয়ে কনকচাঁপা কোনও তীব্র প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে শান্ত ও আস্থাভরা মনোভাব প্রকাশ করেছেন। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুকে দেয়ালের বেশ ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘এই পৃথিবীর কোনও ফয়সালাতেই আমি কিছু ভাবি না। আল্লাহ ভালো বুঝবেন আমার জন্য কী ভালো হবে। তার চেয়ে ভালো বোঝে এমন কে আছেন এই জগতে! অতএব, আলহামদুলিল্লাহ।’
তার এই প্রতিক্রিয়ায় অনেকেই বলছেন, রাজনীতিতে এমন পরিমিত ও সংযত বক্তব্য খুব কমই শোনা যায়।
বলা দরকার, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম। নির্বাচনী প্রচারে বাধার অভিযোগ এনে তিনি বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন।
কনকচাঁপা বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য এবং বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি লেখক হিসেবেও নিজের পোক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।