Image description

সংগীতের ভুবনে পরিচিত মুখ মনির খান। প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। অডিও অ্যালবাম থেকে শুরু করে সিনেমা- সবখানেই ছিল তার বিচরণ। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।

 

গানের বাইরে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও দেখা যায় মনির খানকে। পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। যুক্ত ছিলেন বিএনপি’র সঙ্গে। ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি’র সব ধরনের সাংগঠনিক পদ ও দল থেকে পদত্যাগ করেন এই সংগীতশিল্পী। সেই সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ‌কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে মনির খান বলেন, ‘আমি জনগণের দাবিতে, আমার ভক্তদের দাবিতে রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সংগীতচর্চা শুরু করব। মাঝখানে যে কয়টা দিন, যে কয়টা বছর রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি, এটি আমার জীবনের অ্যাক্সিডেন্ট ছিল। আমার ভুল ছিল।’ 

বর্তমান সময়ে এসে ভোল পাল্টালেন মনির খান। জানালেন, সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি কিন্তু দল থেকে নয়। দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে এই গায়ক বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি সেই সময়। তখন বলেছিলাম, আমি সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। বলিনি, দল থেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই সময় এসে একদল মানুষ বিভিন্ন রকম মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন। তারা আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য নানা কথা বলে বেড়াচ্ছেন।’

বিএনপি’র সঙ্গে যুক্ত আছেন জানিয়ে মনির খান বলেন, ‘দলের নির্দেশ মেনে আমি অনেক আগ থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। দল যেভাবে চাচ্ছে সেভাবেই চলছি। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তাও অনেক। তাই একদল লোক আমার পেছনে লেগেছে আর মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’

এদিকে দেশের একটি গণমাধ্যমকে মনির খান জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালের একটি তথ্যকে বিকৃত করে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আমার শ্রোতা, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং এলাকার মানুষের কাছে ভুল তথ্য পৌঁছানো হচ্ছে। এটি কখনোই কাম্য নয়।’

তিনি জানান, ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। যা বিভিন্ন সময় বলে এসেছেন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়েও রাজনীতিতে সরব থেকেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় একসময় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে বিএনপির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

মনির খানের কথায়, ‘২০১৮ সালে দলটির সব ধরনের কার্যক্রম থেকে অভিমান করে সরে আসি আমি। তখন পদ থেকে সরে এসেছি, কিন্তু দল ছাড়িনি। দলের কঠিন সময়েও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। দল ছাড়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমি বিএনপিতে ছিলাম, আছি। আমাকে নিয়ে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিগত ১০ বছর ধরে এলাকার সব কিছু গুছিয়ে এনেছি আমি। এলাকার দলীয় থেকে সর্বস্তরের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। যাদের দোয়া ও ভালোবাসয় সারা বিশ্বর কাছে আজকের এই মনির খান।’