
বর্তমানে সবাই ফিট থাকতে চায়। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে কত কিছুই না করতে হয়। কেউ কেউ আবার নিয়মিত জিমে শরীর চর্চাও করেন। তবে, অনেক ক্ষেত্রে জিমে গিয়ে শরীর চর্চা করতে সময় বা অর্থ ব্যয় করতে চায় না। আবার কাজের চাপের কারণে সাধারণত হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না। তবে কিছুকেই কিছু হয় না।
খাদ্যতালিকা ঠিক না করে, শরীর চর্চা করলেও ওজন কমবে না। তাই সঠিক উপায়ে ওজন কমাতে হলে শরীর চর্চার পাশাপাশি মানতে হবে পুষ্টিকর খাদ্যতালিকা।
ওজন কমাতে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে যেসব খাবার তা হলো-
১. চিনিযুক্ত পানীয়
আইসড টি, ফিজি কোলা কিংবা প্যাকেটজাত ফলের রস- সতেজ মনে হলেও ভেতরে লুকিয়ে আছে মহাবিপদ। এই পানীয়গুলোতে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়।
২০১৪ সালে এলসেভিয়ার জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় উঠে আসে, চিনিযুক্ত পানীয় শুধু ওজনই বাড়ায় না, বরং পেটের চারপাশে চর্বিও জমায়। নিয়মিত এমন পানীয় খাওয়ার অভ্যাস ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি বাড়ায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকা হরমোনের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত করে।
২. সাদা রুটি এবং পরিশোধিত শস্য
সাদা রুটি, পাস্তা বা ভাত- আরামদায়ক খাবার হলেও এর পুষ্টিগুণ কম। এতে নেই প্রয়োজনীয় ফাইবার ও মিনারেল। এক গবেষণায় বলা হয়, এ ধরনের পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ে, আবার দ্রুতই কমে যায়। এই ওঠানামা পেটের চারপাশে চর্বি জমায়। এছাড়া অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পেট ফাঁপা ও পানি জমার সমস্যা।

সসেজ ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের স্যান্ডউইচে খেতে সুস্বাদু লাগলেও, তা স্বাস্থ্যকর নয়। এতে থাকে প্রিজারভেটিভ, বেশি সোডিয়াম ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এসব উপাদান শরীরে প্রদাহ বাড়ায় ও চর্বি জমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে পেটের চর্বি বাড়তে থাকে।

চিপস, পাকোড়া বা চিকেন নাগেট- যাই হোক, এসব ভাজা খাবার সাধারণত নিম্নমানের ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত তেলে রান্না হয়। ঘন ঘন খেলে শরীরে প্রদাহ বাড়ে। নিয়মিত খেলে পেটের চারপাশে চর্বি জমে যায়, বিশেষ করে পেটের অংশে।
৫. প্যাকেটজাত খাবার এবং বিস্কুট
অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, চিনি আর নিম্নমানের তেল। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এসব উপাদান ধীরে ধীরে শরীরে চর্বি জমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে পেটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো বিপাক প্রক্রিয়াও ধীর করে দেয়।
৬. কৃত্রিম মিষ্টি
জিরো ক্যালোরি মিষ্টি শুনতে স্বাস্থ্যকর লাগলেও, ফলাফল ঠিক উল্টো। এক গবেষণায় বলা হয়, সুক্রালোজ ও অ্যাসপার্টেম অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে ব্যাহত করে। এতে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা বাড়ে, বাড়ে প্রদাহ ও পেটের চর্বিও।