Image description

বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার (‘মিস ওয়ার্ল্ড’) এবারের আসর বসে ভারতের হায়দারাবাদে। ১০ মে থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব হওয়ার কথা ৩১ মে, শহরের হাইটেক্স এক্সিবিশন সেন্টারে। এতে যোগ দিতে ৭ মে ভারতে গিয়েছিলেন মিস ইংল্যান্ড বিজয়ী মডেল মিলা ম্যাগি। কিন্তু আয়োজক কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডে অপমানিত ও বিরক্ত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ‘মিস ইংল্যান্ড’ মিলা ম্যাগি।

১৬ মে মিলা ম্যাগি প্রতিযোগিতা ছেড়ে ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যান। ৭৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রতিযোগী বিশ্বসুন্দরীর প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসার কারণে আয়োজক সংস্থাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মিলা। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার আসর বসেছে হায়দরাবাদে। প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ১০ মে থেকে এবং চলবে ৩১ মে পর্যন্ত। এই প্রতিযোগিতার এক অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন ‘মিস ইংল্যান্ড’। কিন্তু তিনি নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে

তিনি অভিযোগ, এই প্রতিযোগিতার আড়ালে আয়োজক সংস্থা প্রতিযোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রীতিমতো মানসিক শোষণ করা হয় সকলকে।

মিলা ম্যাগি বলেন, ‘যেমন করে একটি বাঁদরকে নাচানো হয়, ঠিক সেই ভাবেই ওখানে প্রতিযোগীদের পারফর্ম করতে বাধ্য করা হয়। এখানে প্রতিযোগীদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘনঘন মেকআপ করা, পোশাক বদলানো, ইত্যাদি করতে হয়। আমি কারও মনোরঞ্জনের পাত্রী হতে আসিনি। তাই প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে এসেছি।’

আয়োজক সংস্থা দাবি করেছিল, বিশ্বসুন্দরীর প্রতিযোগিতা থেকে মিলার সরে দাঁড়ানোর পিছনে ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন খোদ ‘মিস ইংল্যান্ড’।

মিলা আরও বলেন, ‘মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার একটা বিশেষ মূল্যবোধ আছে। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা বহু পুরোনো ধারণাতেই আটকে রয়েছে।’

এই ঘটনা প্রসঙ্গে রোববার, তেলঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও তীব্র নিন্দা করেছেন মিলা ম্যাগির উপর হওয়া হয়রানির ঘটনায়। এমনকী দুঃখ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টও করেন তিনি।

কেটি রামা রাও বলেন, ‘মিলা ম্যাগি, তুমি একজন অত্যন্ত শক্তিশালী নারী। আমাদের রাজ্যে এসে তোমাকে যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে, তার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত।’