Image description

বারুদের মতো র‍্যাপ গান ‘আওয়াজ উডা’ গেয়ে আলোচিত নারায়ণগঞ্জের তরুণ র‍্যাপার হান্নান হোসাইন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ওই গান দিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। একপর্যায়ে প্রতিবাদী এই গানের জন্য গত ২৫ জুলাই হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদিন পর ৬ আগস্ট মুক্তি পান তিনি। সম্প্রতি আরটিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কারাগারে থাকার দিনগুলোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এ গায়ক।

বিজ্ঞাপন

আরটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে গায়ক বলেন, শুক্রবার দিন আমাকে কোর্টে চালান করা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে ছয়টার মধ্যে আমি জেলের ভেতরে। রাতের খাবারটা জেলের ভেতরে খেয়েছিলাম।

 

বিজ্ঞাপন

জেলের খাবার প্রসঙ্গে এ র‌্যাপার বলেন, যখন কয়েদির প্লেটটা দেখি আমার চোখ দিয়ে পানি এসে পড়ে। যখন প্লেটটা দেওয়া হয় সেটা এসে থামেও আমার পায়ের সামনে। প্লেটের মধ্যে সবজি অর্ধেক কাচা, অর্ধেক পাকা। ওটা দেখামাত্র মায়ের ওই কথাটা মনে পড়ে। একসময় মা বলতো যেদিন আমি থাকবো না সেদিন বুঝবা খাওয়ার কষ্ট। তখন এক ছোট ভাই পেছন থেকে এসে বলে, ভাই খান খান। জানি আপনাদের সঙ্গে কি হয়েছে। এখন কি করবেন? খাওয়ার সঙ্গে তো রাগ নেই। খেয়ে বাঁচতে তো হবে।

ভয়াবহ অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে র‌্যাপার আরও বলেন, একটি গাড়ির মধ্যে আমরা প্রায় ৮৭ জন ছিলাম। সবাই সেইম মামলায় নির্দোষ ছিলাম। আর তারা তো জানে না আমি কে, আমি মিউজিশিয়ান। আমি ভাবছি কি করলাম আমি, কি হলো আমার সঙ্গে, কি এমন করলাম!

 

বিজ্ঞাপন

জেলে কতদিন ছিলেন, এই প্রশ্নের জবাবে হান্নান বলেন,‘জেলে ছিলাম অলমোস্ট ১৪ দিন। কারণ থানায় ছিলাম দুইদিন। বৃহস্পতিবার থাকি, শুক্রবারের পর হাফবেলায় ট্রান্সফার করা হয়।

এদিকে, থানা থেকে ছাড়াতে তার পরিবারের কাছে দেড় লাখ টাকা চেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার পরিবারের কাছে প্রথমে এক লাখ টাকা চেয়ে পুলিশ বলেছে, মামলা দেবে না, ছেড়ে দেব। পরে একজন বলেছে, বড় স্যার ঝামেলা করছে। আরও ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। শেষে থানা থেকে ছাড়াতে দেড় লাখ টাকা চেয়েছিল। আমার পরিবার টাকা নিতে বাড়িতে গেছে, এদিকে আমাকে আদালতে চালান দিয়ে দিয়েছে। আদালতে নেওয়ার আগে থানায় ৩৯ ঘণ্টা রাখা হয়েছিল।