Image description

কাল মহান বিজয় দিবস। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে এবং দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাধ্য হয় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়ে আসা জাতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহিদ বেদি।

জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে তাই পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। কাল সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হবে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে রংতুলির আঁচড়েও স্মৃতিসৌধ সেজেছে ভিন্ন সাজে। নানা রঙের বাহারি ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিঁড়িও নানা স্থাপনায় পড়েছে রংতুলির আঁচড়।

স্মৃতিসৌধের বেশ কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকসহ সব ফটকের সামনের সড়কের ডিভাইডারগুলোও রং করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধের ভেতরে বিভিন্ন রঙের আলোক বাতি লাগানো হয়েছে। শোভাবর্ধনে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের ফুলের গাছ।

গণপূর্ত বিভাগের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, প্রায় এক মাস ধরে স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ফুল দিয়ে সাজানো, লেক সংস্কার, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব কাজ ইতিমধ্যে পুরোপুরি সম্পন্ন করা হয়েছে।

এদিকে দিনটি উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। নিরাপত্তা জোরদারে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

বুধবার বিকালে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে আসেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান রিপন। এ সময় তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসবেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এই লক্ষ্যে সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রেখেছি। পাশাপাশি এলাকায় যে জনবসতি আছে তাদের নাগরিকত্ব ফরম দিয়েছি। নতুন কোনো লোকের এলাকায় প্রবেশাধিকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এসপি বলেন, পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ওয়াচ-টাওয়ার দিয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমাদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য এই সৌধ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। আমরা সৌধ এলাকায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিয়েছি। আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।