মানুষের ইতিহাসকে নানাভাগে ভাগ করা হয় : বর্বর যুগ থেকে সভ্য যুগ পর্যন্ত। এই কালবিবরণ অনুযায়ী ১৯৪৫ সালকে মানুষের ইতিহাসে সভ্যযুগের অন্তর্ভুক্ত বলেই ধরা হয়। শুধু তাই নয়, এই বছর হলো সভ্যযুগের মধ্যেও অধিকতর উৎকর্ষকাল বলে যেকালকে বিবেচনা করা হয় অর্থাৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিপুল বিকাশ যেকালে ঘটেছে, তার অংশ। কিন্তু অনেকভাবে ঢেকে রাখার চেষ্টা করলেও সত্য উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই সত্য তাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে যে, সভ্যযুগে এবং সভ্যযুগের মধ্যেও আরও বিকশিত পর্বে ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট যে নৃশংসতা হয়েছে তার তুলনা মানুষের সারা ‘বন্য’ ‘বর্বর’ ‘অসভ্য’ পর্বের কোথাও পাওয়া যাবে না, পাওয়া যাবে না এর কাছাকাছি কোনো দৃষ্টান্তও। এই নৃশংসতার সংঘটক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্রের প্রশাসন। বর্তমানে যার সন্ত্রাসবিরোধিতার আওয়াজ তার আসল পরিচয়কে ঢেকে দিতে সর্বশক্তি নিয়ে নিয়োজিত।
সভ্যকালের ‘বিকশিত’ পর্বে যে রাষ্ট্রটিকে সভ্যতার গুরু হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যে রাষ্ট্রটিকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পীঠস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যে রাষ্ট্রটি তখন থেকে এখনো বিশ্বের শান্তি, শৃঙ্খলা ও মানবতা রার মোড়ল হিসেবে সর্বত্র সারাণ ছড়ি ঘোরাচ্ছে, সেই রাষ্ট্রের নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু অন্যান্য খতিয়ান বাদ দিলেও শুধু এই একটি দিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বর্বরতার আধুনিক চেহারা দেখিয়েছে, যে নৃশংসতা মানুষের ইতিহাসে যোগ করেছে, তার কোনো পূর্বদৃষ্টান্ত মানুষের ইতিহাসে নেই।
মানুষের ইতিহাসে, বিশেষত সভ্যকালের পর্বে গণহত্যা ও জনপদ ধ্বংসের বহু ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধ, রক্তপাত এবং তার সূত্র ধরে এর সঙ্গে অসম্পর্কিত লাখো মানুষের ওপর নির্যাতন, হত্যাকা-, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, গণহত্যা বহু স্থানে বহুবার ঘটেছে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। এসব পর্বের বিবরণ আমাদের শোকাকুল করে, কান্ত করে, অশান্ত করে, ক্রুদ্ধ করে। কিন্তু এসব অজস্র, (সভ্যকালের) বর্বরতার সব সীমা অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট। এই দুদিনে মুহূর্তের মধ্যে দেড় লাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, মুহূর্তের মধ্যেই দুটো জনপদ, হিরোশিমা ও নাগাসাকিকে একেবারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরও বহু লাখো মানুষকে পঙ্গু করা হয়েছে। সর্বোপরি ভবিষ্যতের এমন অসংখ্য মানুষকে পঙ্গু করার ত্রে তৈরি করা হয়েছে, যারা এমনকি যাদের মা-বাবারা পর্যন্ত তখনো জন্মগ্রহণ করেনি। অর্থাৎ এ ঘটনার ৫-১০ বছরের মধ্যে শুধু নয়, ১৫-২০-৩০ বছরের মধ্যে; এমনকি তার পরেও যারা জন্মগ্রহণ করেছে তারাও সেই নৃশংসতার দায় ও চিহ্ন বহন করে চলেছে। এখনো। তাদের বর্তমান বীভৎস জীবনের পেছনে একমাত্র কারণ হলো ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে যারা ছিল, তারা কোনো না দিক থেকে তাদের পূর্বসূরি ছিল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ঙ্কর আগ্রাসনের খেসারত দিয়ে যাচ্ছে মাত্র দুটো শহরেই। বাকি দুনিয়ায় কী ঘটাচ্ছে এই সন্ত্রাসী শক্তি, সে আলোচনা বিশাল এবং কান্তিকর।
১৯৪৫ সালে পারমাণবিক বোমাবর্ষণের পে খুনিরা অনেক সময় সাফাই গায় এই বলে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্যই এই ধ্বংসলীলা করতে হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার। কারণ আসলে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে মে মাসেই। জাপানও আত্মসমর্পণের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বোমাবর্ষণের আগেই। প্রশ্ন থাকতে পারে যে, তার পরও এই বোমবর্ষণের কী কারণ থাকতে পারে?
মে মাসে জার্মানিকে পরাজিত করে সোভিয়েত লালফৌজ কার্যত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ করে। সোভিয়েত লালফৌজই জার্মান বাহিনীকে মূল আঘাত করে। ইউরোপে সোভিয়েত বাহিনীর এই সবল উপস্থিতি এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একটানা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে বিপ্লবী শক্তির জনপ্রিয় অভ্যুদয় পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর জন্য শুধু অস্বস্তিকরই ছিল না, রীতিমতো ভীতিকরও ছিল। অন্যদিকে পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার কেন্দ্র ব্রিটেন তখন বিধ্বস্ত ও পঙ্গু। নতুন নেতৃত্ব গ্রহণের আগ্রহ নিয়ে তখন অগ্রসরমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যেটি ভৌগোলিক দূরত্বের কারণে, পার্ল হারবারের ঘটনা ছাড়া, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রায় অতই ছিল।
এ রকম একটি অবস্থাতেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, জাপানের আত্মসমর্পণের ইচ্ছা জানানোর পরও সে দেশের নিরীহ লাখো মানুষকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করার শক্তিমত্তা দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আসলে যা করতে চেয়েছে সেটা হলো প্রথমত, পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে নিজের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা; দ্বিতীয়ত, সোভিয়েত ইউনিয়নকে সরাসরি হুমকি প্রদর্শন করা; এবং তৃতীয়ত, জাপানের ওপর পূর্ণ দখল নিশ্চিত করা।
যে অস্ত্র দিয়ে মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই নৃশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে, অকল্পনীয় বর্বরতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে সেটির নাম ‘পারমাণবিক বোমা’। এই বোমার ব্যবহার সেটাই প্রথম এবং এর পরও এর আর ব্যবহার হয়নি। কিন্তু এর উৎপাদন চলছে অব্যাহতভাবে আর সবচেয়ে বেশি মজুদ আছে যুক্তরাষ্ট্রেই। আর এর ফলে সারা বিশ্ব ক্রমে অধিক থেকে অধিকতর হারে ভয়ঙ্কর ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হয়ে উঠছে। আতঙ্ক আর ত্রাস এবং ভয়ঙ্কর রকম অনিশ্চয়তা এখন তাই বিশ্ববাসীর এমনকি যেসব দেশ সবচেয়ে প্রভাবশালী ও মতাধর তাদের অধিবাসীদেরও নিত্যসঙ্গী। এখন আমরা এমন অবস্থায় এসেছি, যখন পারমাণবিক শব্দ পর্যন্ত যেতে হয় না পরমাণু বললেও পারমাণবিক বোমা-র কথাই মনে হয়।
কিন্তু পারমাণবিক বোমা তো আসলে পারমাণবিক শক্তির একটি বিধ্বংসী ভয়ঙ্কর ব্যবহার। পারমাণবিক শক্তি মানেই তো পারমাণবিক বোমা নয়। কিন্তু আমাদের মনে হওয়ার কোনো দোষ নেই এ কারণে যে, আমরা পারমাণবিক বোমার সৃষ্টিশীল ব্যবহার দেখার চেয়ে এর ভয়ঙ্কর প্রয়োগই দেখেছি এবং তার পরও ক্রমান্বয়ে পারমাণবিক শক্তিকে মানুষের কাজে ব্যবহারের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী ধ্বংস ও হত্যার অস্ত্র বানানোর কাজেই তার ব্যবহার হচ্ছে।
পারমাণবিক শক্তি মানুষের হাতে এসেছে ধাপে ধাপে। বিজ্ঞানের অনেক পর্ব পার হয়ে আইনস্টাইনের হাত দিয়ে মানুষ এই শক্তির মতা অর্জন করে। বস্তুকে, তার ন্যূনতম একক, পরমাণুকে শক্তিতে রূপান্তরিত করার এই রহস্য উন্মোচন মানুষের হাতে অসামান্য এবং একভাবে বলতে গেলে অসীম মতা দান করেছে। এই মতা দিয়ে মানুষ কতভাবে নিজের জীবনের নানা সমস্যা, ঘাটতি কিংবা সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করতে পারত এবং পারে তার সম্পর্কে বিশদ বিবরণ এখন দেওয়া যাবে না কারণ এর সেভাবে কোনো ব্যবহারই হয়নি। কিছু কিছু যা ব্যবহার হয়েছে তা থেকে কেবল এতটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, চিকিৎসাবিজ্ঞান, কৃষি ও শিল্প উৎপাদন, খাদ্য সংরণ, যোগাযোগ, যাতায়াত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, মহাবিশ্বে মানুষের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ইত্যাদি েেত্র অভূতপূর্ব পরিবর্তন আনা সম্ভব এই শক্তির বিভিন্নমুখী ব্যবহার করে। এই মতা ব্যবহার করে মানুষ বহু কৃত্রিম অভাবের ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে সম এবং সর্বোপরি এ শক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের সব মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই সহজপ্রাপ্য করে তোলা সম্ভব।
কিন্তু এগুলোর কিছুই হয়নি, বরং এই শক্তি ব্যবহার হয়েছে গণহত্যা ও অভূতপূর্ব ধ্বংসযজ্ঞ নিশ্চিত করার কাজে, এই শক্তি ব্যবহার হচ্ছে বর্তমান বিশ্বকে আরও সংঘাতমুখর, অনিশ্চিত আর বিপজ্জনক করে তোলার কাজে, মতাবানদের হিংস্র আধিপত্য আরও সম্প্রসারণ করতে। যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের ৬ ও ৯ আগস্ট মানবেতিহাসের নৃশংসতম অধ্যায় তৈরি করেছিল, সেই যুক্তরাষ্ট্রই এসব কাজে নেতৃত্বদান করছে। করতে পারছে। এভাবেই একটানা ধ্বংস ও হত্যার মতা লালন আর বিস্তার করতে পারছে। কেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল একটি দেশ নয়। ঐতিহাসিকভাবে এই যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়েছে পুরনো আমেরিকার উন্নত সভ্যতাগুলোকে ধ্বংস করে। আমেরিকার বিভিন্ন সভ্যতা ধ্বংস করে, গণহত্যার রক্তাক্ত ভূমিতে বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা করেছে ঔপনিবেশিক ইউরোপ। সেই নয়া ঔপনিবেশিক ইউরোপ অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রই পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে পুরো বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, যুদ্ধ, ধ্বংস, লুণ্ঠন, আধিপত্য বিস্তার, দেশে দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ, শিল্প-কৃষি-প্রাণসম্পদকে মুনাফার জালে আবদ্ধ করায় যুক্তরাষ্ট্রের সব তৎপরতা এখন কেন্দ্রীভূত। বহুজাতিক সংস্থাগুলোর বিশ্বব্যাপী জালিয়াতি আর দখলদারি তৎপরতা, দেশে দেশে সহযোগী সামরিক-বেসামরিক দখলদার-দুর্বৃত্ত-নির্যাতকদের শাসন নিশ্চিত করাই এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মূল ভূমিকা। এই খবরদারিতে তার সঙ্গে আরও কিছু সংস্থা আছে, যেগুলো হলোÑ বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা বা ‘থিংক ট্যাংক’, রেডিও-টেলিভিশন চ্যানেল ইত্যাদি।
মানুষের প্রয়োজনে এবং কল্যাণে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার কোনো আগ্রহ এদের নেই। কেননা তাতে এদের বাণিজ্য আর মুনাফাখোরি বিভিন্ন তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষের অর্জিত মতা মানুষের কাজে ব্যবহার করলে তা পুঁজিবাদের প্রাণভোমরার বেঁচে থাকাকেই হুমকির সম্মুখীন করে তোলে। এই প্রাণভোমরাটি হলো মুনাফা এবং তার মাধ্যমে মূলধন সংবর্ধন। মুনাফা যেখানে বেশি হয়, পুঁজি সেখানেই যায়। মুনাফা এখন সর্বোচ্চ হয় ধ্বংসে ও অপচয়ে। তার ত্রে সংকুচিত হলে পুরো পুঁজিবাদের অস্তিত্বের জন্যই তা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
এ কারণেই আমরা গত কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে যে খাতটিকে সবচেয়ে বেশি বিকশিত হতে দেখি, সেটি হলো সমরাস্ত্র খাত। সমরাস্ত্র খাতটিকে এক কথায় বলা যায়Ñ ধ্বংসের খাত। সমরাস্ত্র খাত থেকে যা কিছু উৎপাদন হয়, তার কাজ হত্যা কিংবা ধ্বংস ছাড়া আর কী হবে? এ খাতের বিকাশ তাই সব সময় চায় যুদ্ধ। যত বেশি যুদ্ধ, যত বেশি হিংসা, যত বেশি আগ্রাসন তত বেশি এই খাতের প্রসার। সে জন্য ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্র যখন গণহত্যা চালায়, একটানা বছরের পর বছর বোমা বর্ষণ করতে থাকে দুর্বল একটি দেশের ওপর কিংবা যখন কোরিয়া ত-বিত হয় অথবা যখন ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র লাখ লাখ মানুষ হত্যা করে কিংবা যখন আফগানিস্তানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিশেষত করে তার সমরাস্ত্র খাত চাঙ্গা হয়ে ওঠে এবং মুনাফা বাড়তে থাকে। সে জন্য যখনই পুঁজিবাদী বিশ্বে মন্দা দেখা দেয়, তখনই বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা।
৬ ও ৯ আগস্টের ধ্বংসযজ্ঞ এবং তার পরও অব্যাহত যুদ্ধ, গণহত্যা, ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের যে নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা তা তাই বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার ধরনের সঙ্গেই সম্পর্কিত। আর একই কারণেই এর আধিপত্য বিস্তারে বিশ্বের সব অঞ্চলের মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তো বটেই, এমনকি এই বিশ্বের অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন। আর তাই এর বিরুদ্ধে লড়াইও হচ্ছে, হতে হবে বিশ্বজোড়া।
প্রতিবছর ৬ ও ৯ আগস্ট, লাখ লাখ নিহত আর পঙ্গু মানুষের আর্তি এই তাগিদই দিতে থাকে যে, নতুন সভ্যতা নির্মাণ করতে গেলে, বর্তমান ‘সভ্যতা’র বর্বরতার কথা আমাদের কোনোভাবেই ভোলা চলবে না।
আনু মুহাম্মদ : অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
উৎসঃ আমাদের সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন