Image description
মিনার রশীদ

আমরা যাদের ‘র’-এর এজেন্ট বলি, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাফেলায় তাদের মোনাফেক বলা হতো। রাসুল (সা.) সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রটির হারমোনি বা ঐকতান ধরে রাখার স্বার্থে কোনো মোনাফেকের নাম প্রকাশ করেননি! তাদের লক্ষণগুলো বলে গেলেও নিজে কাউকে চিহ্নিত করে যাননি! এটি করে গেলে পারস্পরিক হানাহানি অনেক বেড়ে যেত। একই কারণে আমাদেরও ‘র’-এর এজেন্ট খেতাব বিতরণে একটু সংযম দেখানো উচিত।

 

দেশটিকে নিয়ে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট ড. মো. নুরুল আমিন আমার এক বন্ধুর শ্বশুর। সেই নৈকট্যের কারণে তার অনেক লেখা আমার সঙ্গে শেয়ার করেন! তার সাম্প্রতিক একটি কলামে এই চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের কিছু খবর তথ্য-উপাত্তসহ তুলে ধরেছেন! মিয়ানমারের মগরা আমাদের চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারÑএই তিন জেলা দখল করে বৃহত্তর মগরাষ্ট্র বানাতে চায়। হিন্দুত্ববাদীদের স্বপ্নও হুবহু তাই। কাজেই এদের পেছনে ইন্ডিয়ার মদত কতটুকু, তা সহজেই অনুমেয়। এ রকম ভয়ানক ভয়ানক এবং পটেনশিয়াল অনেক বিপদ বা হুমকিকে উপেক্ষা করে দেশপ্রেমিক শক্তিরা নিজেরা একজন আরেকজনের সঙ্গে হেড-অন কলিশনে বা মুখোমুখি সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এসব কলিশন থামানোর কোনো নেভিগেটর অবশিষ্ট নেই, এখানে সবাই ফাইটার এবং একজন আরেকজনকে ‘র’-এর এজেন্ট জ্ঞান করে!

এসব নিয়ে বেশি চিন্তা করলে আবার মগজের কোষগুলো কেমন যেন জ্যাম হয়ে পড়ে। তাই একটা হালকা গল্প বলে সেই জ্যামটা ছুটিয়ে মূল লেখায় যেতে চাচ্ছি।

জার্মান এক দম্পতি, বিয়ের পর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্তান-সন্ততি হচ্ছিল না। পাশের বাসায় অন্য এক দম্পতি তিন তিনটি ফুটফুটে সন্তানের গর্বিত বাবা-মা। ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা যায়, এই সন্তান না হওয়ার জন্য স্বামীটি দায়ী। এসব ক্ষেত্রে উপমহাদেশের অনেক ভণ্ডপীর কিংবা ভণ্ড সন্ন্যাসী সহজ সমাধান দিয়ে গেছেন বলে অনেক মুখরোচক কাহিনি ছড়িয়ে আছে! কিন্তু জার্মান এই দম্পতির কাহিনি এর চেয়েও বেশি রোমাঞ্চকর।

নিঃসন্তান দম্পতি এবং ফলবান প্রতিবেশীর মধ্যে সন্তান উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি পেটে বাচ্চা আসা পর্যন্তই বলবৎ থাকবে। সুযোগের সামান্যতম সদ্ব্যবহার না করার জন্য যথাযথ গ্যারান্টি ক্লজ রাখা হয়। এসব দেশে এই কিছিমের যেকোনো চুক্তি বৈধ এবং চুক্তির শর্ত পালন করতে উভয় পক্ষ আইনগতভাবে বাধ্য।

চুক্তির পর কোনো ফলাফল ছাড়াই অনেক দিন পেরিয়ে গেছে। ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তির দুপক্ষ খোশ মেজাজেই ধৈর্য ধরে এক্সপেরিমেন্ট অব্যাহত রেখেছে। শুধু অভাগা স্বামীটি মাথার চুল ছিঁড়ছে।

ক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ, প্রতারিত এবং কমপ্লিটলি হতাশ হয়ে স্বামীটি আদালতে প্রতারণা এবং চুক্তিভঙ্গের মামলা ঠুকে দিলেন। তার অভিযোগ, চুক্তির ধারা ভঙ্গ করে অতিরিক্ত সময়ে স্ত্রীকে উপভোগ করছে। দুপক্ষের উকিল নিজ নিজ মক্কেলের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করলেন এবং মহামান্য বিচারকের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করলেন। মামলার জটিলতায় বিচারকও চিন্তায় পড়ে গেলেন। কিছুক্ষণ ভেবে কথিত তিন সন্তানের বাবাকে আবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠালেন। ডাক্তারি পরীক্ষা থেকে জানা গেল, এই ব্যক্তিও সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। আদালতের সামনে তখন আরো জটিল প্রশ্ন এসে দাঁড়াল, তাহলে তার ঔরসে যে তিনটি সন্তান এসেছে, এই তিন সন্তানের আসল বাবা কে?

সব জায়গায় খোঁচাখুঁচি, খোঁড়াখুঁড়ি বুদ্ধিমানের কাজ নয় এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভালো নয়Ñএটাই গল্পের মোরাল অব দ্য স্টোরি! এখন যতটুকু আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজের বাপের নাম বলতে পারি, ‘মাই বডি মাই চয়েজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়লে সেই আত্মবিশ্বাস আর থাকবে না। কাজেই সংস্কার যাই করেন, খোঁড়াখুঁড়ি যাই করেন, এই আত্মবিশ্বাস এবং গণতান্ত্রিক কমফোর্টটুকু নষ্ট ‘কইরেন’ না।

বাংলাদেশের রাজনীতি ওপরের গল্পের চেয়েও জটিল এক ক্লাইমেক্সে ঢুকে পড়েছে। সবাই আমরা রাজনীতির ডিএনএ টেস্টার বনে গেছি। চোখ আর ঠোঁট দেখেই বলে দিই, কে কার এজেন্ট!

সোশ্যাল মিডিয়ার কামান এখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের দিকে তাক করা! আমি এখানে সালাহউদ্দিনের সব রাজনৈতিক মন্তব্য ও অবস্থানকে ডিফেন্ড করতে চাচ্ছি না। শুধু একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করতে চাচ্ছি।

এই সেই সালাহউদ্দিন, যিনি তখন বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে দারুণ ভূমিকা রাখছিলেন। মাফিয়া রানির সব ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তার ওপর! তাকে গুম করে দুই মাস অন্তরীণ করে রাখা হয়। স্বামীকে মুক্ত করার জন্য সে সময় তার স্ত্রী এগিয়ে আসেন! আতঙ্কিত ও উৎকণ্ঠিত সেই নারীর মুখায়বটি আমরা এখনো ভুলিনি। আমরাও তার সেই সংগ্রামে সহযোগী হয়েছিলাম। ফলে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রীকে ইলিয়াস আলীর মতো হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে।

তার বন্দিত্বের সময় আমার সঙ্গেও একবার যোগাযোগ হয়েছিল ২০২৩ সালের দিকে। হোয়াটসঅ্যাপ কলে আমাকে তিনি যে কথাটি বলেছিলেন, তা হলোÑভাই দেশ তো এখন আর দুটি নয়, একটা হয়ে গেছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ওনার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে, কিন্তু যেসব যুক্তি দেখিয়ে তাকে ‘র’-এর এজেন্ট হিসেবে সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তা মানা কষ্টকর বৈকি।

স্বাধীনতার পরপর চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরীর পরিবারকে একজন প্রাক্তন স্পিকারের মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে মেরিন একাডেমির অফিসার্স মেসে আটক করে রাখা হয়েছিল। ওনার ছোট ছেলে জামাল উদ্দীন কাদের চৌধুরীর মুখে এই গল্প শুনেছি। তখন একজন ইন্ডিয়ান মেজরের ওপর তার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনীর সেই মেজর অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে ফজলুল কাদের চৌধুরীকে ট্রিট করেছিলেন । এ ঘটনা কী প্রমাণ করে যে মি. চৌধুরী ইন্ডিয়ার দালাল ছিলেন?

সালাহউদ্দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবং সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তার মর্যাদা অনুযায়ী ইন্ডিয়ান অথরিটি তাদের এই ভিআইপি বন্দিকে রেখেছিল, এটাকে বাঁকা চোখে দেখা কতটুকু ঠিক হচ্ছে?

একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ভিত্তি মূলত নির্ভর করে দুটি স্তম্ভের ওপরÑসেনাবাহিনী এবং রাজনৈতিক দলগুলো। এই দুটি প্রতিষ্ঠান যখন জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠে, তখন রাষ্ট্র এগিয়ে যায় । কিন্তু যখন এই দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে যায়, তখন রাষ্ট্র খাদের কিনারায় দাঁড়ায়।

এই দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আমাদের হতাশার অনেক কারণ রয়েছে। তারপরও আমাদের একটু সতর্ক থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরেকটু দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

সমালোচনা মানবসমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তাশীল চর্চা। এটি উন্নতির পথ উন্মুক্ত করতে পারে আবার অযথা ধ্বংস ও বিভ্রান্তির জন্মও দিতে পারে। তাই সমালোচনার প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য গভীরভাবে অনুধাবন করা প্রয়োজন।

গঠনমূলক সমালোচনা ও সংশোধনের সুযোগ

গঠনমূলক সমালোচনা হলো সেই ধরনের সমালোচনা, যা কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দলের ভুলত্রুটি চিহ্নিত করে তাকে আরো শক্তিশালী ও জনমুখী করে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে। এ ধরনের সমালোচনায় থাকে যুক্তি, প্রমাণ এবং বিকল্প প্রস্তাব। এটি সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আত্মসমালোচনার সুযোগ দেয় এবং আত্ম উন্নয়নের পথ দেখায়। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এ ধরনের সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে নেয়, তবে দলীয় সংস্কার ও নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, যা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।

ধ্বংসাত্মক সমালোচনা ও নেতিবাচক প্রভাব

অন্যদিকে, যখন সমালোচনার উদ্দেশ্য হয়, শুধু চরিত্রহনন, অপপ্রচার কিংবা বিদ্বেষ ছড়ানো, তখন সেটি ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। এর ফলাফল হয় সমাজে বিভ্রান্তি, অবিশ্বাস এবং বিশৃঙ্খলা। রাজনৈতিক দলগুলো যখন ‘ব্ল্যাংকেট সমালোচনা’—অর্থাৎ সবকিছুই খারাপ এই দৃষ্টিভঙ্গিতে একচেটিয়া সমালোচনার শিকার হয়—তখন জনগণের মধ্যে রাজনীতি সম্পর্কে বিতৃষ্ণা জন্ম নেয়। তারা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যার ফলে বিরাজনীতিকরণ ঘটে। এই অবস্থা একটি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়, কারণ রাজনীতি ছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনার কোনো বিকল্প কাঠামো নেই।

সেনাবাহিনীর সমালোচনার পরিণতি

সেনাবাহিনী একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতীক। এই প্রতিষ্ঠানটির সমালোচনা যদি হয় দায়িত্বশীল, যুক্তিনির্ভর ও সংস্কারমূলক উদ্দেশ্য, তবে তা গ্রহণযোগ্য। তবে যদি সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান, অপবাদ বা সন্দেহের চোখে দেখা হয়, তাহলে তা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়। ফলে তৈরি হয় একটি মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তাহীনতা। এই নিরাপত্তাহীনতা শুধু জনগণের মধ্যে নয়, রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে। সেনাবাহিনীর মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জাতীয় প্রতিরক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে সেনাবাহিনীকে সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখার মূল দায়িত্ব সেনাবাহিনীকেই পালন করতে হবে।

আস্থাহীনতার কারণ

সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতা যখন প্রশ্নবিদ্ধ হয় বা তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তখনই সাধারণ মানুষ তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দমননীতি এবং দলীয়করণ জনগণের আস্থাকে ক্ষয় করে দেয়। ফ্যাসিবাদ আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটির সমূহ ক্ষতি করে গেছে। শুধু বিরূপ সমালোচনার মাধ্যমে এই ক্ষতি থেকে উদ্ধার করা যাবে না! প্রয়োজন বুদ্ধিদীপ্ত, সুপরিকল্পিত এবং ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ।

এর ফলাফল কী?

যেখানে জনগণ সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা করতে পারে না, সেখানে যেকোনো জাতীয় সংকটে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। আবার রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর আস্থাহীনতা জন্ম দেয় নেতৃত্ব সংকট, যার সুযোগ নেয় বিদেশি শক্তি, চরমপন্থি গোষ্ঠী অথবা অসাংবিধানিক শক্তি। এর ফলে তৈরি হয় একপ্রকার নৈরাজ্য, যেখানে জাতি বিভক্ত হয়, রাজনীতির নামে ব্যক্তিস্বার্থ তুলে ধরা হয় এবং প্রশাসন ভেঙে পড়ে।

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের অবমূল্যায়ন

আস্থাহীনতা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দিকেও। বিচার বিভাগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন, এমনকি গণমাধ্যম—সবকিছুই জনগণের চোখে নিরপেক্ষতা হারায়। একসময় জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করছে, জনগণের নয়। তখনই রাষ্ট্র তার মৌল কাঠামো হারাতে শুরু করে।

করণীয়

১. সেনাবাহিনীকে পেশাদার, নিরপেক্ষ ও সংবিধাননিষ্ঠ রাখা প্রয়োজন।

২. রাজনৈতিক দলগুলোকে জনমুখী, আদর্শভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে।

৩. গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

৪. সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে সচেতনতা ও জবাবদিহির ক্ষেত্রেই।

৫. সর্বোপরি, জনগণের মতামতকে সম্মান করতে হবে প্রতিটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে।

সেনাবাহিনী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা টিকিয়ে রাখাই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। এ আস্থা হারালে শুধু সরকার নয়, পুরো রাষ্ট্র বিপদের মুখে পড়ে। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হলো এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে সমালোচনা হবে যুক্তিসম্মত ও সম্মানজনক—যা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। তাই রাষ্ট্রের সব অংশীজনের এখনই প্রয়োজন আত্মসমালোচনা, আত্মশুদ্ধি এবং আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।