আল জাজিরাতে চিন্ময় দাসকে নিয়ে বিশাল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক বহু মিডিয়া ডিটেইলসে চিন্ময়ের খবর প্রকাশ করছে। সেখানে তারা বলছে পতাকা অবমাননার দায়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন বিহীন গ্রেফতার সংখ্যালঘু নেতা।
কথা কিন্তু ঠিকই। পৃথিবীর যে কোনও ধীমান ব্যক্তি এরকম সংবাদ পাঠ করলে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো সম্পর্কে একটা ভুল বার্তা পাবে। আর এই বন্দোবস্ত আমাদের সরকারই করে দিয়েছে। নিজেদের ভাবমূর্তি নিজেরাই ক্ষুণ্ণ করছে।
পতাকার উপর পতাকা উড়ানোর মত একটা সিলি, ভুয়া ব্যাপার নিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করলে সেটা যে ধোপে টিকবে না, সে তো অজানা কিছু না।
চিন্ময়ের বিরুদ্ধে কি আর অভিযোগ নাই? যদি থাকে তবে সেসব অভিযোগে মামলা দায়ের না করে কেন বিএনপির এক বহিষ্কৃত নেতার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হলো?
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রাষ্ট্র নয়, বাদী প্রাইভেট সিটিজেন। এরচে' হাস্যকর আর কিইবা হয়! সেই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ভিত্তি হচ্ছে, চিন্ময় দাস এবং অনুসারীরা জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছেন।
এইরকম একটা তামাশাভরা অভিযোগে রাষ্ট্র যদি তাকে নিয়ে এত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, তবে তার অনুসারীরা যে আদালত প্রাঙ্গণে একজন আইনজীবীকে হত্যা করলো সেই মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয় নি কেন?
চিন্ময়ের গ্রেফতারের পরপরই লিখেছিলাম-
জাতীয় পতাকার উপর পতাকা টাঙানো যদি জাতীয় পতাকার অবমাননা কিম্বা রাষ্ট্রদ্রোহ হয় সে হিসেবে এ দেশে প্রতি বিশ্বকাপে ৫০ লাখ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়ার কথা।
দেশেও কোনও দিন এমন অভিযোগে কেউ সাজা পেয়েছেন তার নজির নাই। এত দূর্বল অভিযোগে চিন্ময়কে গ্রেফতার দেখানো হলো কেন? এটা এমন একটা অভিযোগ যে অভিযোগে সুনিশ্চিত মুক্তি তিনি পাবেন।
বরং তাকে ভবিষ্যতে জাতীয় নেতা বানানোর সুযোগ করে দিল। তার বিরুদ্ধে অন্য বহু অভিযোগকে আড়াল করলো। তাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির পথ করে দেওয়া হলো।
চিন্ময়ের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে গ্রেফতার একটা ভণ্ডামি। এ মামলায় চিন্ময়ের কখনোই সাজা হবে না। তিনি বীরদর্পে মুক্তি পাবেন।
কিন্তু চিন্ময়ের মত বিতর্কিত একজনকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাইনোরিটি রাইটসের একক ভয়েস করে তুললো সরকারই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেকে নিজেরাই তো ছোট করছেন আপনারা!