Image description

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, মার্কিন ও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত পাল্টা শুল্কের বড় অংশ বহন করছে। তবে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর পণ্যের চাহিদা এখনও কম থাকায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চিত্র মিশ্র দেখা যাচ্ছে।

আইএমএফের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জুলি কোজাক বৃহস্পতিবার এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘‘পাল্টা শুল্ক-সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যেও বৈশ্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে। বছরের প্রথমার্ধে আমরা বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে স্থিতিশীল অবস্থা লক্ষ্য করেছি। তবে এখন আমরা বিশ্বব্যাপী মন্দার সংকেত দেখতে শুরু করেছি। মূল্যস্ফীতির চিত্র কিছুটা মিশ্র।’’

কোজাক বলেন, পাল্টা শুল্কের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু পণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশটির মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কিন্তু চীনসহ কিছু এশীয় দেশে মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও কম। কোম্পানিগুলো এই শুল্কের একটা অংশ বহন করায় যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির প্রভাব এখন পর্যন্ত সীমিত রয়েছে। তবে এটি কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিশ্চিত নয়।

আইএমএফের পরবর্তী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতিতে পাল্টা শুল্কের প্রভাব আলোচনা করা হবে। এছাড়া নভেম্বর মাসে আইএমএফের বার্ষিক আর্টিকেল ফোর-এও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

জুলি কোজাক আরও উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে নমনীয়তার কারণে সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার কমানো প্রয়োজন হয়েছে। তবে এতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। তাই ফেডকে পরবর্তী সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসন্ন তথ্যের দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।