Image description
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামশা ইউনিয়নে সহস্রাধিক গ্রাহকের শত কোটি টাকার বেশি জামানত আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় তিন নেতার বিরুদ্ধে। গ্রাম মানবিক উন্নয়ন ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় হাতিয়ে নেওয়ার পর অভিযুক্তরা এখন গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
 
রোববার সকালে উত্তর জামশা এলাকায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমজাদ হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
 
ভুক্তভোগীরা জানান, ২০০১ সালে নিবন্ধিত এই সমবায় প্রতিষ্ঠানে জামশা, জামির্তা, চারিগ্রাম, বলধারা, তালেবপুর ও জয়মন্টপ ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ তাদের সঞ্চিত অর্থ জামানত হিসেবে রেখেছিলেন। প্রথমদিকে লভ্যাংশ দিলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মূল টাকা ফেরত দিচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। ফলে অনেকে চরম অর্থকষ্টে পড়েছেন।
 
ফাতেমা বেগম নামের এক গৃহিণী জানান, কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য সমিতিতে ১০ লাখ টাকা রেখেছিলেন। তিন বছর পার হলেও তিনি টাকা ফেরত পাননি। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, "সব কিছু শেষ। এখন শুধু মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছি।"
 
ভুক্তভোগী প্রবাসী সেলিম মিয়া জানান, আত্মসাৎকৃত টাকা দিয়ে অভিযুক্তরা ইতিমধ্যে দুবাইতে ব্যবসা শুরু করেছেন। "পাবলিকের টাকায় নিজেরা ফুলেফেঁপে উঠেছে, আর আমরা পথে বসেছি," ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে টাকা ফেরত এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
 
গ্রাহকদের অভিযোগ মূলত চারজনের বিরুদ্ধে—জামশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী কামরুজ্জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, শ্রমিক লীগের সভাপতি মানিক মিয়া উজ্জ্বল এবং আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুল্লাহ।
 
এ বিষয়ে গাজী কামরুজ্জামানের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার জানান, "আমার স্বামী আট-নয় কোটি টাকার দেনার কথা স্বীকার করেছেন। ধীরে ধীরে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।" তবে এলাকাবাসীর দাবি, এটা সময়ক্ষেপণের কৌশল।
 
জেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারহানা ফেরদৌসী বলেন, "কোনো সমবায় সমিতি এভাবে জামানত সংগ্রহ করতে পারে না। অভিযোগ পেলে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এদিকে নবগঠিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাবি প্রশাসন, রাবি শিক্ষক সমিতি, রাবি প্রেসক্লাব, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।