|
আহমেদ জী এস
|
|
ভ্রমর কুয়াসার রাত....
04 September 2015, Friday
পাকুড় বৃক্ষের ডাল বেয়ে নেমে আসা করুন গিরগিটির মতোন কী ভয়ঙ্কর এক একটা রাত অবলীলাক্রমে হেটে আসে কাছে । ভ্রমর কুয়াসার সে রাত তার বাতায়ন খুলে নগ্ন হয়ে এলে সংগোপনে তাকে বাঁধতে হয় অজগরী বাহুডোরে । নিলীমার চিরকালের শরীরি সব উতল-অবতল রেখা সে মন্হনে বিলীন হয়ে গেলে পড়ে থাকে শুধু স্খলনের দাগ । সিঁথির সিঁদুর ধুঁয়ে যায় তার নগ্ন নির্ঝরে । গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে দিলেও সে সব রাতের পবিত্র কৌমার্য্য, কুসুম কোরকের মতো ফুঁটে ওঠেনা কিছুতেই আর । শরীরে আজন্ম লালিত লোমকূপে যে স্বেদ জমে জমে ভারী হয় দিনের ফেরী শেষে, তার কস্তুরী ঘ্রান বিনম্র করজোড়ে হাঁটু গেড়ে বসে থাকে পেতে রাখা বুকের একটুকরো উঠোনে । .........
রোদ্দুরের ডানায় ভর করে উড়ে যাওয়া দিনে নিলীমা শিখিয়েছিলো কি করে ভালোবাসতে হয় ---- জলকলমীর ভালোবাসা যেমন জলের সাথে । শিখিয়েছিলো কি করে হাসতে হয় ---- ঝর্ণার জল, ছলাৎছল যেমন ভাঙে হাসি । দিনমানের সে খেলা সাঙ্গ হলে চুপি চুপি কিশোরী রাত তার অন্ধকারের ঝাঁপি খুলে বসে আরো গভীর সেজে উঠবে বলে । ধীরে ধীরে সে ঝাঁপি থেকে বেরিয়ে, বেলকূঁচি পাতার ফাঁক গলে মেটেল সব গিরগিটি হেটে আসে ভয়ঙ্কর রাত হয়ে । তখন মনে পড়ে, নিলীমা শিখিয়েছিলো কি করে চোখে চোখ রাখতে হয় । কি করে ঝরাতে হয় জল চোখে - শ্রাবন মেঘ যেমন ঝরে ঝরঝর ।
আমি অন্ধকারের চোখে রাখি চোখ । বিজন ঘাসে ছায়ারা দোলে । দোলে টলমল পায়ে শিশিরবিন্দু । রাতের গা বেয়ে বৃষ্টি নেমে আসে ঝিরিঝিরি । তাতে কি মুছে যায় মন-দেয়ালের সব দাগ ?
যদি সব খোলস খুলে ফেলা যেতো .....যদি সব নোলক খুলে ফেলা যেতো ..... যে জাল বুনে গেছে সুযোগ সন্ধানী মাকড়সা তা ছিঁড়ে ছিঁড়ে গিরগিটি রাত অপ্সরা হয়ে উড়ে যেতে পারতো ।
নিলীমা শিখিয়েছিলো কি করে বাঁচতে হয় । বলেছিলো - জীবন যে উপাদান সমৃদ্ধ হবার প্রত্যাশায় থাকে প্রতিদিন, কর্ম তাকে পরিশোধিত করে ; তারই যোগান দেয় । আর এর ফলেই জীবন মরুতে জলসিঞ্চিত হয় ।
তাই নয়ন পলকে সিঞ্চিত করে রেখেছি যতো অশ্রুজল তাকে ঝরতে দেই নিরূপায় বর্ষার মতো করে । যে জোনাকি লুকিয়ে রেখেছি চোখে, তাকে মেলতে দেই শিথিল ডানা। তবুও এ রাতপ্রহর অনাদিকাল ঝুলেই থাকে । প্রতি রাতে নিলীমাকে যতোই ভেঙেচুরে আবার নয়ন মেলে দেখি ততোই রহস্যময়ী হয়ে ওঠে । অশ্রুজল শেষ হয় , শেষ হয়না গিরগিটির মতো হেটে আসা রাতের রহস্য মিছিল ।
শুধু কতোবার টেনে নিয়েছি বাতাস তা গুনে গুনে মেপে যাই জীবন । মূহুর্তগুলি কতোবার শ্বাসরূদ্ধ করে দিয়েছে মাপি তা দিয়েও । হিসেব মেলে না, যেমন মেলেনা নিলীমার হৃদয়তল । অন্ধকারে ভরাভয় বাতিঘরের মতো নিলীমা শুধু ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে । পথ দেখাতে চায় । জলমুকুরে তার ছায়া যে শান্ত রোদের মতো ভাসে, তেমন কনক আভায় ভেসে যাওয়া ভালোবাসাময় এক জীবন খুঁজে ফিরি অন্ধকারে... অন্ধকারে ।
নিলীমা শিখিয়েছিলো কি করেই বা কাঁদতে হয় । তেমন করে কেঁদে কেঁদে কেটে যায় আমার সব ভ্রমর কুয়াসার রাত ..........
উৎসঃ সামহোয়ারইনব্লগ
পাঠক মন্তব্য
I needed to post you that little bit of remark just to give thanks yet again on the nice guidelines you have contributed on this site. It is really extremely generous with you in giving publicly what a few individuals might have sold for an electronic book to generate some bucks for themselves, precisely considering the fact that you could possibly have tried it in case you wanted. These basics also acted to be the fantastic way to be sure that most people have the identical dreams just like my very own to grasp much more with respect to this problem. Certainly there are millions of more pleasant sessions up front for people who browse through your blog.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন