Image description

অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর জন্য বিজয় কি-বোর্ডের সফটওয়্যার বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি শব্দ ব্যবহার করেছে, বাধ্যতামূলক। এ শব্দটি বিভ্রান্তিকর। যেকোনো অ্যানড্রয়েড ফোনে আপনি যে কোনো সফটওয়্যার রাখতে পারেন, আনস্টল করতে পারেন, ফেলে দিতে পারেন, নতুন করে ইনস্টল করতে পারেন। অতএব বাধ্যতামূলক শব্দ প্রয়োগ করার কিছু নেই। এটি বাধ্যতামূলক নয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, কারো জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়নি। যেটি বলা হয়েছে যিনি উৎপাদক অথবা আমদারিকারক তিনি বাংলা লেখার সুবিধা তৈরি করে দেওয়ার জন্য একটি সফটওয়্যার দিয়ে দেবেন। ব্যবহারকারী সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন কী করবেন না, সেটি সম্পূর্ণ তার এখতিয়ার।

মন্ত্রী জানান, চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট টাওয়ার না থাকা এবং প্রচুর জ্যামার বসানোর ফলে নেটওয়ার্ক থাকলেও কল ড্রপ হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত কোয়ালিটি অব সার্ভিস ইম্প্রুভের দিকে ফোকাস করছি। 

ডিসি সম্মেলনের পর ব্রিফিংয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আরও বলেন, দেশে যারা টেলিকম অপারেটর আছেন, তাদের কলড্রপসহ অন্যান্য সমস্যা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি আমরা। কল ড্রপ নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা একটি পদক্ষেপ নিয়েছি। সেটি হলো প্রথম বার কল ড্রপে যে টাকা কাটা যাবে, গ্রাহক তার তিনগুণ ফেরত পাবেন। আপনি যদি দেখেন, ১৫ বছর আগে মানুষের চাহিদা ছিল সীমিত। তখন ফোনে একটা কল করতে পারলেই চলত। কিন্তু এখন প্রতিটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ভিডিও কল করে। চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য আমরা অবকাঠামো উন্নতির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রযুক্তির পাশাপাশি অবকাঠামোও যাতে উন্নত হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। গত বছর বন্যায় নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ডুবে যাওয়ায় সিলেট অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যহত হয়। সে প্রসঙ্গ ধরে ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে ডিসিদের তরফ থেকে সম্মেলনে প্রশ্ন এসেছে বলে জানান মন্ত্রী।

বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ফাইভ-জি সেবা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যায়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা পুরোপুরি ফাইভ-জিতে চলে যেতে পারতাম। সে লক্ষ্যে প্রস্তাব আমরা একনেকে নিয়েও গিয়েছিলাম। এর জন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা দরকার। ফলে তখন ভেবেছিলাম কিছুদিন পরে আমরা এটা পুরোপুরি চালু করব। বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা ফাইভ-জিতে চলে যাব। শিল্পসহ অন্যান্য উন্নয়নের জন্যও ফাইভ-জি অত্যাবশ্যক। কেউ আমাদের দেশে এসে যদি বলে, রোবট ফ্যাক্টরি করব, সে যদি ফাইভ-জি সুবিধা চায়, আমাদের দিতে হবে।