বিশ্বের গরীব দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিলো আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে। স্টিভ হ্যাঙ্কের বার্ষিক দুর্দশা সূচক (HAMI ) অনুসারে জিম্বাবুয়েকে বিশ্বের ১৫৭টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুঃখী দেশের তকমা দেয়া হয়েছে। সংস্থাটি অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে দেশগুলিকে বিশ্লেষণ করে। বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাংক ঋণের হার এবং জিডিপি বৃদ্ধির মতো ক্ষেত্রগুলি খতিয়ে দেখে র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়।
HAMI রিপোর্ট অনুসারে, জিম্বাবুয়েতে মুদ্রাস্ফীতির জেরে দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে চরম অসন্তুষ্টি রয়েছে। আফ্রিকার দেশটি সিরিয়া, লেবানন, সুদান এবং ইউক্রেনের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছে যা সবচেয়ে হতভাগ্য দেশগুলির তালিকায় বরাবর জায়গা পেয়েছে। হ্যাঙ্ক-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী সিরিয়া তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়া এখনও সুখের মুখ দেখেনি। ভেনেজুয়েলাও জিম্বাবোয়ের মতো একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। HAMI-এর মতে, সূচকে ১০৩তম অবস্থানে ছিল ভারত। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো বেকারত্ব।
HAMI রিপোর্ট অনুসারে, সুইজারল্যান্ড সবচেয়ে সুখী দেশ হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের সর্বনিম্ন HAMI স্কোর সুইজারল্যান্ডের। তার একটি কারণ হলো 'সুইস ডেট ব্রেক'। ঋণ ব্রেক একটি কবজের মতো কাজ করেছে বলে জানান স্টিভ হ্যাংক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ১৩৫তম অবস্থানে, কারণ বেকারত্ব।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্য তার বিশাল মুদ্রাস্ফীতি সংকটের কারণে ১২৯তম স্থানে রয়েছে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে টানা ছয় বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের শিরোনাম পাওয়া ফিনল্যান্ড, বেকারত্বের উচ্চ হারের কারণে দুর্দশা সূচকে ১০৯ তম স্থানে ছিল। তালিকার প্রথম ১৫টি দেশ হলো- জিম্বাবুয়ে, ভেনেজুয়েলা, সিরিয়া, লেবানন, সুদান, আর্জেন্টিনা, ইয়েমেন, ইউক্রেন, কিউবা, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, হাইতি, অ্যাঙ্গোলা, টোঙ্গা ও ঘানা।
সূত্র : আউটলুক ইন্ডিয়া