Image description
‘গাজায় হাসপাতালগুলো যেন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত না হয়’
গাজায় ইন্দোনেশিয়ার অর্থায়নে নির্মীত ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের চারপাশ থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান করেছেন ডা: সারবিনি আব্দুল মুরাদ। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার দাতব্য সংস্থা মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি রেসকিউ কমিটির (এমইআর-সি) প্রধান ডা: সারবিনি আব্দুল মুরাদ বলেছেন, অবিলম্বে গাজায় ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের চারপাশ থেকে সেনা সদস্য প্রত্যাহারের জন্য ইসরাইলকে আহ্বান জানাচ্ছি। জাকার্তা থেকে আল-জাজিরার সাথে কথা বলার সময় ডা: সারবিনি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে এবং আশপাশের অঞ্চলগুলোতে বোমাবর্ষণ করছে এ বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। জাকার্তা থেকে তিনি আরো বলেন, এটি একটি অমানবিক আক্রমণ যার নিন্দা করা উচিত কারণ এটি এমন একটি জায়গা যা অবশ্যই রক্ষা করা উচিত। তিনি বলেন, আমরা ইসরাইলকে বলছি- হাসপাতালগুলো যেন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত না হয়। তিনি আরো বলেন, আমরা ইসরাইলকে ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের চারপাশ থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছি যাতে এটি চিকিৎসা সহায়তা চাওয়া নাগরিকদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হতে পারে। ডা: সারবিনি বলেন, ফিকরি রফিউল হক, রেজা আলদিল্লা কুর্নিয়াওয়ান ও ফরিদ জাঞ্জাবিল আল আইয়ুবি নামে যে তিন ইন্দোনেশিয়ান চিকিৎসক ওই হাসপাতালের দায়িত্বে আছেন গত নয় দিন ধরে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। কারণ গাজাজুড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জানান তিনি। এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি। গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে। বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। সূত্র : আল-জাজিরা