“মামলা প্রত্যাহারে মানবাধিকারকর্মীকে হুমকির অভিযোগ”; “ঢাকা আইনজীবী বারের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলামকে হত্যার হুমকি”; “মানবাধিকারকর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে”; “মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ কর্তৃক থানায় মানবাধিকারকর্মী হেনস্তা”; “মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার হুমকি”; “এসআইয়ের হাতে মানবাধিকারকর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ”; “মানবাধিকারকর্মীকে হেনস্তার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে”; তথ্যানুসন্ধানকালে মানবাধিকারকর্মীর উপর দুর্বৃত্তদের হামলা” ইত্যাদি শিরোনামে দেশের বিভিন্ন বাংলা প্রত্রিকায় প্রকাশিত খবরগুলোর সাথে দেশের অধিকাংশ জনগন বহুলাংশে পরিচিত।

পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা প্রতিদিন এরকম সংবাদ অহরহ দেখতে পাই। মানবাধিকার আন্দোলনের সাথে জড়িত কর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রতিনিয়ত সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক হত্যা, হত্যার হুমকি, শারীরিক আক্রমন, হত্যার উদ্দেশ্যে শারীরিক আক্রমন, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, গ্রেফতার, লাঞ্ছনা, হয়রানি ইত্যাদির শিকার হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে মানবাধিকারকর্মীরা আজ হুমকির সম্মুখীন।

মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার সংগ্রামে লিপ্ত থাকায় মানবাধিকারকর্মীরা প্রায় সরকারী বাহিনী ও বেসরকারী শত্রু কর্তৃক নির্যাতনের প্রথম শিকারে পরিনত হয়। তাদের জীবনের উপর হামলা, শারীরিক আক্রমন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও মর্যাদা হননের মত সহিংসতার শিকার হওয়া নৈমত্তিক ব্যপার। আইনের মাধ্যমে সংগঠন, সমাবেশ, তথ্যপ্রাপ্তি সহ আন্দোলনের স্বাধীনতার মত মানবাধিকার কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষনা করে নির্যাতন চালানো হয়। বিচার বিভাগীয় নিষ্পেষণ ও শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে অনেক সময় মানবাধিকার কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ করা হয়।

মানবাধিকার কর্মীরা রাষ্ট্র কর্তৃক হয়রানি, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং চাকুরী হারানো, কাজের অধিকার, চিকিৎসার অধিকার, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার অধিকার অস্বীকার করাসহ বসতবাড়ী, জমিজমা ও নাগরিকত্ব হারানোর মতো নির্যাতনেরও শিকার হন। এমনি মানবাধিকার কর্মীর আত্মীয়স্বজন ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরাও সহিংসতার শিকারে পরিনত হন।

উল্লেখিত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন নং ৫৪/১৭০ এর মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষা ও উন্নয়নে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গদের হুমকি, হয়রানি ও নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হওয়ার বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

যে ব্যাক্তি ব্যক্তিগতভাবে বা অন্যের সহযোগে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনিই একজন মানবাধিকার কর্মী। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের আন্দোলনে মানবাধিকার কর্মীরা মুখ্য ভুমিকা পালন করে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগনের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে মানবাধিকারকর্মীরা অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। মানবাধিকারকর্মীরা সামাজিক, রাজনৈতিকও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা প্রশমন, রাষ্ট্রীয় ও আন্তজাতিক শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংগনে মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পৃষ্ঠপোষকতা করে। তারা মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষা করতে জাতিসংঘের আওতায় আঞ্চলিক ও অন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি গঠনে কাজ করে।

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মানবাধিকারকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে বিনা বাঁধায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দিতে জাতিসংঘ প্রস্তাবনা এ/রেস/৫৩/১৪৪ এর মাধ্যমে ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষনা গ্রহন করে। মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার ও কর্তব্য বিষয়ে একটি ঘোষনা গ্রহন করতে জাতিসংঘ ১৯৮৪ সাল থেকে আলোচনা শুরু করে এবং জাতিসংঘ সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের অর্ধশত বছর পুর্তিতে ১৯৯৮ সালে সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারকর্মী ঘোষনা গ্রহনের মাধ্যমে তা সম্পন্ন হয়।

অনেক সংখ্যক বেসরকারী মানবাধিকার সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের আন্তরিক সমন্বিত প্রচেষ্টা অতি প্রয়োজনীয় এই ঘোষনা চুড়ান্ত করতে সহযোগীতা করেছে। এই ঘোষনা শুধুমাত্র মানবাধিকারকর্মী ও রাষ্ট্রকেই নয়, সকলকে সমগুরুত্ব প্রদান করেছে। আমাদের প্রত্যেকের মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে মর্মে এই ঘোষনা প্রকাশ করে।
তাছাড়া, আমাদের প্রত্যেকের সার্বজনীন মানবাধিকার আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে এই ঘোষনা গুরুত্ব প্রদান করেছে। জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহিত মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত এই ঘোষনার পুরো নাম “সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন এবং সংস্থা সমূহের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কিত ঘোষনা” সংক্ষেপে “জাতিসংঘ মানবাধিকার কর্মী ঘোষনা” হিসেবে পরিচিত।

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষনা-১৯৯৮ এর নিজস্ব কোন আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ইহা আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্পন্ন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি যেমন-নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে অনেকগুলো নীতি ও অধিকারের সমন্বয়ে গৃহীত হয়েছে।

তাছাড়া, এই ঘোষনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি কর্তৃক বাস্তবায়নে সুদৃঢ় অংগীকারের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে এবং বর্তমানে রাষ্ট্রসমূহ ক্রমবর্ধমানভাবে এই ঘোষণাকে তাদের রাষ্ট্রীয় আইনের মত বাধ্যবাধক হিসেবে গ্রহনের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী অধিকার ঘোষনা-১৯৯৮ মানবাধিকারকর্মীদের কাজের প্রতি সমর্থন ও তাদের সুরক্ষা প্রদান করে। ইহা নতুন কোন অধিকার সৃষ্টি করে না, কিন্তু মানবাধিকার কর্মীদের জন্য বিদ্যমান অধিকারসমূহ কার্যক্ষেত্রে সহজে ব্যাবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে। ইহা মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠনের আর্থিক তহবিল প্রাপ্তি সহজলভ্য করা এবং মানবাধিকার লংঘন ও মানবাধিকার মানদণ্ড বিষয়ক তথ্য বিনিময় সহজীকরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে।

রাষ্ট্রীয় আইনের সাথে এই ঘোষনার সম্পর্ক ব্যাখ্য করাসহ রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং মানবাধিকার রক্ষা কালে প্রত্যেকের কর্তব্যসমুহ এই ঘোষণায় সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। ইহা গুরুত্বপূর্ণ কারণ মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত এই ঘোষনার অধীনে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষনা-১৯৯৮ এর ১, ৫, ৬,৭,৮,৯,১১,১২ ও ১৩ নং ধারা মানবাধিকারকর্মীদের নিম্নলিখিত অধিকারসহ সুনির্দিষ্ট সুরক্ষা প্রদান করে: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার পাওয়া ও সুরক্ষা চাওয়া; ব্যক্তিগত ভাবে এবং অন্যের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে মানবাধিকার রক্ষা মুলক কাজ পরিচালনা করা; সমিতি ও বেসরকারী সংস্থা গঠন করা; শান্তিপূর্ণভাবে সাক্ষাৎ এবং সমাবেশ করা; মানবাধিকার সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া, পাওয়া, গ্রহন ও ধারন করা; নতুন মানবাধিকার ধারনা ও নীতিসমূহের উন্নয়ন ও আলোচনা করা এবং তাদের স্বীকৃতির জন্য তদ্বির করা; সরকারী কর্তৃপক্ষ ও সংস্থা এবং বেসরকারী সংগঠন যারা সরকারী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে, তাদের নিকট কার্যক্রম উন্নয়নের প্রস্তাব পেশ করা এবং তাদের কার্যক্রমে যদি কোন মানবাধিকার ব্যাহত হয়, তবে সে ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করা; মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট সরকারী নীতি ও আইনের বিষয়ে অভিযোগ করা এবং সে অভিযোগ পুনর্বীক্ষণ করা; মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে পেশাগতভাবে যোগ্যতা সম্পন্ন আইনী সহায়তা অথবা অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদান করা; দেশীয় আইন এবং প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও প্রতিশ্রতি মেনে চলা হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে মতামত তৈরী করার জন্য প্রকাশ্য শুনানী, কার্যক্রম এবং মামলায় উপস্থিত থাকা; বেসরকারী এবং আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থার সঙ্গে বাঁধাহীনভাবে যোগাযোগ স্থাপন করা; ফলপ্রসু প্রতিকার পাওয়া; মানবাধিকার কর্মীর পেশা ও বৃত্তি আইন সংগতভাবে অনুশীলন করা; রাষ্ট্র কর্তৃক সংঘটিত কাজের ফলে মানবাধিকার লংঘিত হলে তার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ন উপায় বা কাজের মাধ্যমে প্রতিবাদ করলে জাতীয় আইনের মাধ্যমে কার্যকর সুরক্ষা পাওয়া; এবং মানবাধিকার রক্ষার উদ্দেশ্যে সম্পদ প্রাপ্তির অনুরোধ, গ্রহন ও ব্যবহার করা।

মানবাধিকারকর্মী অধিকার ঘোষনা-১৯৯৮ এর সব প্রভিশন বাস্তবায়ন করা ও মেনে চলা সকল রাষ্ট্রের দায়িত্ব। যাহোক, এ ঘোষণার ২, ৯, ১২, ১৪ এবং ১৫ নং ধারা রাষ্ট্রের নিম্নলিখিত দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্দিষ্ট করাসহ তার ভুমিকা বিষদভাবে উল্লেখ করেছে: সকল মানবাধিকার সুরক্ষা, উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন করা; মানবাধিকারকর্মীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিকও অন্যান্য অধিকার ও স্বাধীনতা বাস্তবে নিশ্চিত করা; মানবাধিকারকর্মীর অধিকার ও স্বাধীনতা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইনগত, প্রশাসনিক ও অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহন করা; মানবাধিকার লংঘনের শিকার ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় কার্যকর প্রতিকার প্রদান করা; মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করা; মানবাধিকারকর্মী ঘোষনার আওতাধীন কোন অধিকার আইন সংগতভাবে অনুশীলন করার ফলে তার বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি, প্রতিশোধ, জবরদস্তিমূলক বৈষম্য, চাপ অথবা অন্য কোন স্বেচ্ছাচারী ব্যাবস্থা গ্রহনের হাত থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা; নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করা; সকল স্তরের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ও পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে মানবাধিকার শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করা।

মানবাধিকারকর্মী অধিকার ঘোষনা-১৯৯৮ সবাইকে সমাজের প্রতি ও সমাজের মধ্যে এবং মানবাধিকারকর্মী হিসেবে সমাজে ভুমিকা রাখতে উৎসাহ প্রদানের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেছে। এই ঘোষনার ১০, ১১, ১৮ নং ধারা প্রত্যেকের মানবাধিকার উন্নয়ন, গনতন্ত্র রক্ষা ও অন্যের অধিকার লংঘন না করার দায়িত্ব আরোপ করেছে। ১১ নং ধারা সেসব পেশা, যা অনুশীলনের সময় অন্যের অধিকার লংঘিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বিশেষত পুলিশ সদস্য, আইনজীবী ও বিচারকদের কর্তব্য সম্পর্কে গুরুত্ব আরোপ করেছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী অধিকার ঘোষনা-১৯৯৮ এর ৩ ও ৪ নং ধারা এই ঘোষনার আলোকে আন্তর্জাতিক ও রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ আইনগত মানদণ্ড অনুসরণের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক চুক্তিসমুহের পক্ষভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে তা বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতার কারনে মানবাধিকারকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী অধিকার ঘোষনা-১৯৯৮ বাস্তবায়নে দায়বদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তার দায়বদ্ধতা বাস্তবায়ন না করে মানবাধিকারকর্মীদের নির্যাতন, হুমকি, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলায় জড়ানো, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ হয়রানি করে প্রতিনিয়ত তা লংঘন করে চলেছে।

তাই, দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের এখনই প্রয়োজন আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে সম্মান দেখিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী অধিকার ঘোষনা-১৯৯৮ এর আলোকে মানবাধিকারকর্মী (অধিকার ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার ও তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে সকল প্রকার হয়রনী, ভয়ভীতি ও বাধাহীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করা।

লেখক: মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবী; জাস্টিসমেকার্স ফেলো, সুইজারল্যান্ড; একটি আন্তর্জাতিক শিশুকেন্দ্রিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মকত। ইমেইল: [email protected],