Image description

সিলেটে ই–মেইল ‘হ্যাক’–এ মাধ্যমে এক নারীর ব্যাংক হিসাব (অ্যাকাউন্ট) থেকে তিন ধাপে সাত লাখ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর (ট্রান্সফার) করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার দুদিন পর পুলিশের তৎপরতায় ভুক্তভোগী নারী টাকাগুলো ফেরত পেয়েছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি ভোরে সিলেট নগরের সাগরদীঘির পাড় এলাকার এক নারী (বয়স ৩০, পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক) তাঁর মুঠোফোনে সক্রিয় থাকা ব্যক্তিগত ই–মেইলটি হ্যাক হয়েছে বলে বুঝতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তিনি তাঁর ই–মেইলের পাসওয়ার্ড (গোপন নম্বর) পরিবর্তন করেন। সে সময় তিনি মনে করেছিলেন, তাঁর ই–মেইল নিরাপদে রয়েছে। কিন্তু বিকেলে মুঠোফোনে আসা খুদে বার্তা দেখে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর নামে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে তিন ধাপে মোট সাত লাখ টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ‘ট্রান্সফার’ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। এরপর তিনি ব্যাংকে যোগাযোগ করে থানায় জিডি করেন।

জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সিলেট কোতোয়ালি থানায় শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (পিএসআই) খালেদ হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জিডির পরপরই তদন্ত শুরু হয়। প্রথমেই যে হিসাব নম্বরে টাকাগুলো স্থানান্তর করা হয়েছে, সে ব্যাংকে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লেনদেন বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে ব্যাংকে বিষয়গুলো জানানো হয়। এরপর ওই ব্যাংক থেকে ট্রান্সফার হওয়া টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

পিএসআই খালেদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক। পাশাপাশি নিজের নাম–পরিচয়ও প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। তবে যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকাগুলো পাঠানো হয়েছিল, ওই ব্যক্তিকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাল কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, একটি চক্র এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য অ্যাকাউন্টটির প্রকৃত মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, কত টাকা লেনদেন হয়েছে, সেটি জানাতে অপরাগত প্রকাশ করেছে। তবে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।