
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহযোগিতা নিয়ে নির্মিত ভিডিও ও তথ্য সাইবার জগতে ছড়াচ্ছে নানা বিভ্রান্তি। ভিডিওগুলো ও তথ্য এমনভাবে তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে, যা আসল নাকি নকল তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রেও এসব ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা হচ্ছে। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রযুক্তির এ অপব্যবহার বন্ধে নীতিমালা প্রণয়নের কথা ভাবছে সরকার। এ বিষয়ে সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে ইউনেস্কোর।
সম্প্রতি এআই নির্মিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতে পালানো শেখ হাসিনা এক টকশোতে কথা বলছেন। সঞ্চালনা করছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি। আগে প্রকাশিত তার অডিও বক্তব্যগুলো ওই ভিডিওর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিসের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। অথচ এমন ঘটনা ঘটেইনি। এছাড়া প্রতিনিয়ত এ ধরনের ভিডিও তৈরির মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তথ্য যাচাইকারী সংস্থা ডিসমিসল্যাবের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত জুলাইয়ে বাংলাদেশে ইউটিউব চ্যানেলে অনেক ভুয়া ভিডিও অ্যাপলোড করা হয়েছে। যার অধিকাংশই এআই দিয়ে তৈরি করা। যেগুলো জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার শুরু করেছেন। এ অবস্থায় এআই দিয়ে ভিডিও তৈরির মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা চলছে। এতে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ প্রবণতা আরো বাড়বে।
এমন পরিস্থিতিতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সাইবার জগতে এআই নির্মিত কনটেন্ট নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করছেন। এ নীতিমালা দিয়ে প্রযুক্তির অপব্যবহার ঠেকানো সম্ভব।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়টির সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, এআই নীতিমালা নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছে। এ নীতিমালার বিষয়ে ইউনেস্কোর সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।