Image description

শীতকাল | | আব্দুস সালাম

আমার দেশের শহর গাঁয়ে
হিম কুয়াশার চাদর গায়ে
এলো আবার শীত
ভোমর অলি উঠল মেতে
বসল মেলা শর্ষে ক্ষেতে
কণ্ঠে তাদের গীত।

শীতল বায়ু শীতল পানি
শিশির ধোঁয়ায় চরণখানি
চায় যে সবাই রোদ
নগ্ন টোকাই উঠছে কেঁপে
শীতে তাকে ধরছে চেপে
যায় হারিয়ে বোধ।

পায়েস চিতই-ভাপাপুলি
খেজুর রসের পিঠাগুলি
খেতে ভীষণ স্বাদ
চায়না গাঁদা পপির ঘ্রাণে
পরিযায়ী পাখির গানে
হয় যে পূরণ সাধ।

আগুন পোহানো | | মোহাম্মদ শারবিন 

শীতের সকাল
তাপের আকাল
আগুন জ্বেলে তায়,
উত্তাপ পেতে
ক’জন এতে
দল বেঁধে পোহায়।
কেউ দাঁড়িয়ে
হাত বাড়িয়ে
করে সে তাপ ভোগ,
কেউবা বসে
হাস্যরসে
হাত মেলে দেয় যোগ,
আগুন যতক্ষণ-
জ্বলে ততক্ষণ
ভোগ করে তা বেশ,
নিভলে পরে
প্রস্থান করে
পোহানো হয় শেষ।

খোকার শীত | |  আবু সাইদ কামাল

শীতে কাঁপে থিরথির
হয়ে যায় অস্থির
মোটা কাঁথা দিয়ে গায়
বিছানায় শুয়ে যায়
বাবা যেই ডেকে কয়,
পড়ালেখা কেন নয়!
খোকা কয়, শীতে মরি
বলো তো কেমনে পড়ি।


আঁকা ছবি | | বারী সুমন

শিল্পীর তুলিতে
শীতের ছবি আঁকা
সাদা সাদা কুয়াশায় 
চারদিক ঢাকা।

হলুদের চাদরে
ঢেকে আছে চরাচর
শর্ষের ফুলে ফুলে
ধেয়ে আসে মধুকর।


শীতের আগমন | | আহমাদ কাউসার 

শীত এসেছে চিতই-ভাপায়
নকশী আঁকা পিঠায়
গাছের আগায় মাটির হাঁড়ি
খেজুর রসের মিঠায়।
শীত এসেছে সবুজ মাঠে
আঁকাবাঁকা বাটে
শীত এসেছে জেলের নায়ে
কুয়াশাঘেরা মাঠে।
শীত এসেছে দূর্বাঘাসে
মুক্তোর কণা হাসে
সাদা বসন গা জড়িয়ে
বাতাসেতে ভাসে।


আলো খুঁজি | | শেখ সজীব আহমেদ

শীত পড়েছে শীত পড়েছে
ভীষণ শীত আজ
চারিদিকে দেখি শুধু
কুয়াশার সাজ।

রোদের আলো খুঁজি সবাই
কোথায় আলো?
হাড় কাঁপানো এই শীতে কেউ
নেই যে ভালো।


শীতের বুড়ি | | শ্যামল বণিক অঞ্জন

শীতের বুড়ি দেয় ঝাঁকুনি
শক্তি ভীষণ তার,
থরথরিয়ে কাঁপায় দেহ
সাথে কাঁপায় হাড়।
শীতের বুড়ি হিম পবনে
জমায় দেহ প্রাণ,
শীতের বুড়ি যায় শুনিয়ে
পৌষালিরই গান

শীতের বুড়ি কুয়াশারই
চাদরে দেয় ঢেকে,
শীতের বুড়ি ঘাসের ডগায়
দেয় যে শিশির মেখে।


ভালো লাগে | | কাব্য কবির 

শীতকালে ভালো লাগে
খেতে পাপড় ভাজা,
চিড়া, মুড়ি, নারকেল, খই
দারুণ তিলের খাজা।

ভালো লাগে লালশাক, মুলা
টেংরা, পালংশাক,
টমেটো, লাউ, বাঁধাকপি 
মন খুশিতে থাক।

শীতের সবজির রেসিপি
মজা লাগে খেতে,
সারা বছর ইচ্ছে করে
শীত ঋতুটা পেতে।