
জাতিসংঘের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অহরহ- উল্লেখ করে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় তাফসীর পরিষদ বাংলাদেশ।
রবিবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী বাকি বিল্লাহ।
এ সিদ্ধান্তকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি আখ্যায়িত করে তারা বলেন, “খোদ জাতিসংঘের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অহরহ। জাতিসংঘই বার বার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। এ জন্য বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘকে মুসলিম নিধন সংঘ নামে অভিহিত করে মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন।”
নেতারা বলেন, “মানবাধিকার রক্ষার নামে তারা দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়াদিতে নাক গলাবে। ইসলামী মূল্যবোধের উপরও আঘাত হানবে। নারী-পুরুষের সমতা বিধানের নামে তারা বাংলাদেশে বলবৎ ইসলামের উত্তরাধিকার আইনে তারা পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালাবে। সার্বজনীন যৌন শিক্ষার নামে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অবাধ যৌনাচার, জিনা-ব্যভিচার, সমকামীতা ও ট্রান্সজেন্ডারের দিকে ধাবিত করার অপচেষ্টা চালাবে। যা এদেশের জনগণ কখনোই মেনে নিবে না।”
তারা বলেন, “দেশে দেশে মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের দৃশ্যমান কোন কার্যক্রর ভূমিকা নেই। যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের লাখ লাখ মুসলিম নারী শিশুকে হত্যা করে ইসরাইল মানবাধিকারের কবর রচনা করেছে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় সন্তোষজনক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ কারো গোলামী করে বাঁচতে চায় না, ভারতীয় আধিপত্য যেমনি এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তেমনিভাবে মার্কিনসহ অন্য কোন রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না।”
নেতারা আরও বলেন, “বাংলাদেশে অফিস স্থাপনের সুযোগ দিলে এরা রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
অবিলম্বে এই দেশবিরোধী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানান তারা।