
প্রতিপক্ষ ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা দক্ষিণ কোরিয়া। সেই দলের বিপক্ষে ১৫ মিনিটে এগিয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে লিডটা ধরে রাখতে পারেননি আফঈদা খন্দকাররা। সে গোলের ৫ মিনিট না যেতেই গোল হজম করে বসে দলটা। প্রথমার্ধ তাই শেষ হয়েছে ১-১ সমতায় থেকে।
অ-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দলটা গোলের দেখা পেয়ে যায় ম্যাচের ১৫তম মিনিটে। দলকে আনন্দের উপলক্ষ্যটা এনে দেন তৃষ্ণা। শান্তি মারদির বাড়ানো বল বক্সের বাইরে পেয়ে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় ঢোকেন মোসাম্মৎ সাগরিকা।
তার শট দক্ষিণ কোরিয়া গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন। তবে ফিরতি সুযোগটা পেয়ে যান তৃষ্ণা। অপ্রস্তুত গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে তার কোনো সমস্যাই হয়নি। বলটা তিনি জড়িয়ে দেন জালে।
সে গোল কোরিয়ানরা শোধ করেছে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে। বাম পাশ থেকে ভেসে আসা ক্রস ঠেকাতে গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক স্বর্ণা রাণী মণ্ডল। তাকে ফাঁকি দিয়ে গোলটা করেন লি হায়ুন।
এরপর দুই দলই গোলের চেষ্টা করেছে বটে। তবে গোলের দেখা আর পায়নি। ফলে প্রথমার্ধ ১-১ সমতায় থেকে শেষ হয়।
বাংলাদেশ অবশ্য এখনও গ্রুপের শীর্ষেই আছে। তবে আজ দক্ষিণ কোরিয়াকে রুখে দিতে পারলেই বাংলাদেশ চলে যাবে প্রতিযোগিতার মূলপর্বে। বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
ড্র করলেও অবস্থানটা বদলাবে না। টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী, একাধিক দলের সমান পয়েন্ট হলে হেড টু হেড বিবেচনায় আসবে। আজ ড্র হলে হেড টু হেড একই থাকছে। এরপর গ্রুপের মধ্যে গোল ব্যবধান। সেটাও সমান। তখন বাইলজের ৭.২.২.৬ ধারা অনুযায়ী বেশি গোলের হিসাব হবে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচে করেছে ১১ গোল, কোরিয়া ১০। এই হিসাবে বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
সেরা রানার্সআপ দলের মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়বে বাংলাদেশ। কারণ, আট গ্রুপের মধ্যে ডি-গ্রুপসেরা রানার্সআপের দৌড় থেকে ইতোমধ্যে ছিটকে গেছে। কারণ, এই গ্রুপে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের পয়েন্ট মাত্র চার। ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে শেষ ম্যাচ। ফলে এই গ্রুপের রানার্সআপ দলের ছয় পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ নেই।
যেখানে ইতোমধ্যে ছয় পয়েন্ট রয়েছে পাঁচ দলের। ফলে ডি-গ্রুপ বাদ দিয়ে অন্য সাত গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্সআপ হওয়ার লড়াই চলবে। বর্তমান পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী ছয় পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ পজিশনে রয়েছে চাইনিজ তাইপে (সি-গ্রুপ +৩), লেবানন (ই-গ্রুপ +২), ইরান (এফ-গ্রুপ +৫), জর্ডান (জি-গ্রুপ +১১), দক্ষিণ কোরিয়া (এইচ-গ্রুপ +১০)। গোল ব্যবধানে কোরিয়া ও জর্ডান খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থানে।