Image description

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলেতে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন আম্পায়ারকে বল বদলের অনুরোধ করেছিলেন ঋষভ পান্ত। আম্পায়ার বিষয়টি গ্রাহ্য না করায় রাগে বল ছুড়ে দেন তিনি। এই ঘটনায় শাস্তি পেতে পারেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এক ম্যাচ নির্বাসিত হতে পারেন তিনি।

তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর বল পরিবর্তনের অনুরোধ করেন ভারতের পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। ততক্ষণে ৬১ ওভার খেলা হয়েছিল। আম্পায়ার ক্রিস গাফফানি সেই অনুরোধ শোনেননি। তার কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায়, মাঠের অপর আম্পায়ার পল রাইফেলের কাছে গিয়েছেন পান্ত। তার কাছে গিয়েও বল বদলের অনুরোধ করেন পান্ত।

বলের আকার নষ্ট হয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য আম্পায়ারদের কাছে একটা যন্ত্র থাকে। তাতে পরীক্ষা করে রাইফেল জানান, বলের আকার ঠিক আছে। পান্ত এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। রাগে বল ছুড়ে ফেলেন তিনি। তারপর ফিরে যান নিজের জায়গায়। আম্পায়ার রাইফেলের মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তিনি পান্তের কাজে খুশি হননি।

ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সেই সিদ্ধান্ত একমত না হলে রিভিউ নেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু সেটা আউট হওয়ার ক্ষেত্রে। বল বদলের ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তার বিরুদ্ধে বিরক্তি প্রকাশ অপরাধের সমান। রাইফেল যদি তার রিপোর্টে পান্তের এই বিরক্তির কথা লেখেন তা লে শাস্তি পেতে হতে পারে তাকে।

আইসিসির নিয়মের ২.৮ ধারা অনুযায়ী, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখালে লেবেল ১ অথবা লেবেল ২ অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। লেবেল ১ অপরাধের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারের ম্যাচ ফির শূন্য থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়। কিন্তু যদি কোনো ক্রিকেটার লেবেল ২ অপরাধে দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তার ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়।

পাশাপাশি তাকে একটা টেস্ট অথবা দুটি একদিনের ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হতে পারে। পান্তের বিরুদ্ধে যদি লেবেল ২ অপরাধ প্রমাণিত হয় তাহলে পরের টেস্টে নির্বাসিত হতে হবে তাকে। তবে সবটাই নির্ভর করছে আম্পায়ারেরা ম্যাচ রেফারির কাছে কী রিপোর্ট জমা দেন তার ওপর। পান্তের মেজাজ হারানো নিয়ে এখনও আম্পায়ার বা আইসিসি কিছু জানায়নি।

 

প্রসঙ্গত, জাসপ্রিত বুমরাহ’র বোলিং নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৭১ রানের জবাবে টেস্টের তৃতীয় দিন ৪৬৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ফলে ৬ রানের লিড পায় ভারত।