
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড ২০৫ রান করেও হেরেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে শিশিরের ওপর হারের দায় চাপিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। স্বীকার করেন বোলিং-ফিল্ডিংয়ে নিজেদের ভুলের কথাও। এবার সিরিজ হার এড়ানোর ম্যাচে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েন লিটনরা। সেখান থেকে জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের ব্যাটে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
আমিরাতের বিপক্ষে লজ্জা এড়ানোর ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ অভিজ্ঞ নাজমুল শান্তকে বসিয়ে প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ ইমনকে ফেরাতে কুণ্ঠা করেননি। নাহিদ রানাকে বসিয়ে হাসান মাহমুদকেও ফেরায় একাদশে। এমনকি ব্যাটার বাড়াতে বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে বসিয়ে অলরাউন্ডার শেখ মেহেদীকে নিয়েও কাজ হয়নি।
এক প্রান্তে ওপেনার তানজিদ তামিম তার স্বভাবসুলভ শট খেলে গেছেন। অন্য প্রান্তে পারভেজ-লিটনরা যাওয়া-আসার মিছিল শুরু করেন। যে মিছিলে সবার আগে নাম তোলেন ইমন। ইনজুরির কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে না পারা ওপেনার গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান। তিনে নামা লিটন কিছুক্ষণ ব্যাটে ছিলেন। তিনি ১০ বলে এক চার ও ছক্কায় ১৪ রান করে ফিরে যান। তিন ম্যাচেই সেট হয়ে সাজঘরে হাঁটা দেন তিনি।
চারে নামা তাওহীদ হৃদয় ২ বলে শূন্য ও সহঅধিনায়ক শেখ মাহেদী ৯ বলে ২ রান করে ফিরলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। ওপেনার তামিম ১৮ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেও বিপদ বাড়া বৈ কমেনি। তিনি চারটি করে চার ও ছক্কার শট মেরে যখন ফেরেন দলের রান তখন ৬.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ৫৭।
হাল ধরতে ব্যর্থ হন শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেনরাও। স্লগার শামীম সাতে নেমে ১২ বল খেলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পরেই স্পিনের বিপক্ষে ভালো ব্যাট করা রিশাদ আউট হন শূন্য করে। বাংলাদেশ ৭১ রানে হারায় ৭ উইকেট। তানজিম সাকিব আউট হন দলের ৮৪ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৬ রান।
পরের রান গুলো এসেছে জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের কারণে। জাকের ৩৪ বল খেলে ৪১ রানের দরকারি ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি ছক্কা ও একটি চারের শট আসে। পেসার হাসান ১৫ বলে তিন ছক্কায় ২৬ রান করেন। ৭ বলে ১৭ রান করে শেষ ব্যাটার শরিফুল। শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশ ৫৩ রান তুলেছে। এর মধ্যে আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসেমের করা শেষ ওভার থেকে তুলে নেয় ২৬ রান।
বাংলাদেশের ইনিংস শুরুতে ধসিয়ে দেন আরব আমিরাতের বাঁ-হাতি স্পিনার হায়দার আলী। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। মতিউল্লাহ খান ও সগীর খান দুটি করে উইকেট তুলে নেন। আমিরাতে রাতে শিশিরের প্রভাব থাকায় বাংলাদেশের এই পুঁজি নিয়ে নির্ভার থাকার উপায় নেই।