Image description

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ৭ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরুর পর বৃষ্টির মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। খানিক বৃষ্টির পর ফের ম্যাচ মাঠে গড়ালে তাইজুল ইসলামকে হারায় স্বাগতিকরা। ফেরার আগে ৪৫ বলে ২০ রান করেন তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। ফিফটি ছোঁয়ার পথেই টেস্টে ২ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন এই অলরাউন্ডার।

মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেঞ্চুরির আভাস দিচ্ছিলেন মিরাজ। তবে এই জুটির সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিম। সাদা পোশাকে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৪১ রান করেন এই পেসার।

এরপর মিরাজকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। ১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করা মিরাজও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে বেশি সময় নেননি। দ্বিতীয় সেশনের ড্রিংক বিরতির আগেই সেঞ্চুরি তুলে নেন এই অলরাউন্ডার। 

নিজের ক্যারিয়ারের ৫৩তম টেস্টে দুই হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে সেঞ্চুরিতেই টেনে নিলেন ইনিংস । টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৪৩ বলে তার ১০০ রানের ইনিংসটি ১১ চার ও ১ ছক্কার সৌজন্যে সাজানো । এর আগে, চট্টগ্রামেই প্রথম শতকটি করেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ২০২১ সালে।

তবে মাইলফলক আর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি মিরাজ। তার বিদায়ে ৪৪৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। এতে প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা।

এর আগে, ওপেনার সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৪ রানে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানে জবাবে দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৯১ রান করে বাংলাদেশ। সাদমান ১২০ রানে আউট হন। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম ৫৯ বলে ৪০ ও ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৮০ বলে ৩৯ রান করেন।

এরও আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২৭ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ১৬৬ বল মোকাবিলায় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন শন উইলিয়ামস। এ ছাড়া ৫৪ রান করেন নিক ওয়েলচ। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ৬টি, নাঈম হাসান দুটি ও তানজিম সাকিব একটি উইকেট শিকার করেন।