
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ১-৪ গোলে হারের পরই কোচ দরিভাল জুনিয়রকে ছাঁটাই করে ব্রাজিল।স্বাভাবিকভাবেই দলটি এখন নতুন কোচের সন্ধানে। এরইমধ্যে দলটির সম্ভাব্য নতুন কোচ হিসেবে সামনে এসেছে একাধিক নাম।সেই তালিকায় কার্লো আনচেলত্তি এগিয়ে থাকলেও লড়াইয়ে আছেন সাবেক তারকা জর্জি জেসুস ও ফিলিপে লুইসের মতো নামও।
এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না এলেও এই তিনজনের কাউকেই হয়তো কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে ব্রাজিলের ডাগআউটে।
ব্রাজিলের নতুন কোচ নিয়োগে সম্প্রতি মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল বড় তারকা নেইমারের কাছেও। তবে এ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি সাবেক এই বার্সা তারকা।
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে যারা এগিয়ে আছেন, তাদের মধ্যে আনচেলত্তির অধীনে কখনো খেলেননি নেইমার।জেসুসের অধীনে নেইমার খেলেছেন আল হিলালে। আর ফিলিপে লুইসকে নেইমার কোচ নয়, পেয়েছিলেন সতীর্থ হিসেবে।
জেসুসের অধীনে খেললেও সেই সময়টা কিন্তু নেইমারের ভালো যায়নি। এমনকি কথার লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েন দুজন।
নেইমারকে সৌদি চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য নিবন্ধিত না করা জেসুস তাকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা যে মানের ফুটবল খেলছি, নেইমার সেই জায়গায় নেই।’
জেসুসের সেই কথাকে ভালোভাবে নিতে পারেননি নেইমার। কোচের ওপর মনঃক্ষুণ্ন হয়ে নেইমার তখন বলেছিলেন, ‘জেসুসের ওপর আমার রাগ হয়েছিল, যখন তিনি বলেছিলেন, দলের বাকিদের মতো আমি একই অবস্থায় নেই।’
সেই কোচকেই কিনা এবার জাতীয়দলের ডাগআউটে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে ব্রাজিল। এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছেন- জানতে চাইলে এক পডকাস্টে নেইমার বলেন, ‘এসবের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে এসবের মধ্যে জড়াবেন না। আমি এখন খেলার বাইরে।’
তবে বাস্তবতা হচ্ছে আনচেলত্তি, জেসুস বা যিনিই দায়িত্ব নিন না কেন, নেইমারকে নিয়ে নিশ্চিতভাবেই আলাদা পরিকল্পনা রাখতে হবে। নেইমার যদি সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে পারেন, তাহলে কোচের ভাবনার কেন্দ্রে থাকবেন তিনি।
তবে ধারাবাহিকভাবে চোটে পড়া নেইমার নিজেই বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থাকবেন কি না, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।