Image description

১০ মার্চ থেকে সৌদি আরবের তায়েফে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অনুশীলন করে আসছিলেন ইতালি প্রবাসী ফাহমিদুল ইসলাম। আজ দল দেশে ফিরলেও আসেননি ১৮ বছর বয়সী ফুটবলার। তায়েফ থেকে ইতালি ফিরে গেছেন। হাভিয়ের কাবরেরা লাল সবুজ দলে তাকে আর রাখার প্রয়োজনবোধ করেননি। ফাহমিদুলের বাদ পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো বটেই, বাফুফে ভবনসহ খেলোয়াড়দের হোটেলের সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে। সমর্থকরা কিছুতেই ফাহমিদুলের বাদ পড়াটা মেনে নিতে পারছেন না।

বাফুফে ভবনের সামনে ইফতারির আগে কিছু সমর্থকরা জড়ো হয়ে ক্ষোভ জানাতে থাকেন। ফাহমিদুলকে দলে না রাখার প্রতিবাদ জানিয়ে সমর্থকরা অবস্থান নেন। এই সময় ‘তুমি কে, আমি কে, ফাহমিদুল... ফাহমিদুল.. সিন্ডিকেটের কালো হাত গুঁড়িয়ে দাও..’ বলে স্লোগান দেন। কোচ কাবরেরার সমালোচনাও করেছেন সমর্থকরা। 

বাফুফে ভবনের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় সেখানেই ইফতার করেন সমর্থকরা। এরপর সেখান থেকে রাজু ভাস্কর্য হয়ে টিম হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সামনে গিয়েও বিক্ষোভ করেছেন। সমর্থকরা ফাহমিদুলকে দলে ভেড়ানোরও জোর দাবি জানান।

যদিও কাবরেরা কেন ফাহমিদুলকে বাদ দিয়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সহকারী কোচ হাসান আল মামুনও বাংলা ট্রিবিউনের কাছে একই সুরে কথা বলেছেন। ডিসিপ্লিন ইস্যু নিয়ে সাবেক তারকা এই ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘হামজা চলে আসায় ফুটবল দলের প্রতি প্রত্যাশা ৩৬৫ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। এখন সবাই তো ওর মতো হবে না। ফাহমিদুল ও হামজা তো এক নয়। ফাহমিদুল ডিসিপ্লিন ইস্যুতে বাদ পড়েনি। ওকে অনুশীলনে নানানভাবে দেখা হয়েছিল। কোচ মনে করছেন ফাহমিদুলকে এখনই জাতীয় দলে খেলানো ঠিক হবে না। মূল দলে মানিয়ে নিতে আরও সময় প্রয়োজন। আমরা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের জন্য ওকে ডাকবো।  আর কেন সোশ্যাল মিডিয়াতে এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি না।’

আগামী ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলতে নামবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তার আগে ২০ মার্চ বাংলাদেশ দল ভারতের উদ্দেশে রওনা হবে। আগামীকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা হতে পারে বাংলাদেশের ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড।