Image description

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নতুন ঘর নির্মাণ উপলক্ষে পারিবারিক দাওয়াতে তৈরি করা পিঠা খেয়ে একে একে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শিশুসহ একই পরিবারের ১১ জন।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পিঠা তৈরির সময় ভুলবশত কালোজিরা মনে করে পিঠায় ‘দানাদার কীটনাশক’ মিশিয়ে ফেলেন পরিবারের সত্তোরোর্ধ্ব বয়োবৃদ্ধা। তা খেয়েই অসুস্থ হয়েছেন সবাই।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার রমজাননগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শ্যামনগর থানার এসআই মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন।

পরিবারের বরাতে রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল মামুন বলেন, নতুন ঘর তৈরির আনন্দে ওই পরিবারের মেয়ে, জামাই, নাতি-পুতি ও পোতা-পুত্নীদের দাওয়াত করা হয়।

“তাদের জন্য বিকালে পিঠা তৈরির সময় রান্নাঘরে রাখা দানাদার কীটনাশককে কালোজিরা ভেবে মিশিয়ে ফেলেন পরিবারের সত্তোরোর্ধ্ব বয়োবৃদ্ধা জুলেখা বিবি।”

পরে পিঠা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই উপস্থিত সবাই বমি, মাথা ঘোরা ও পেট ব্যথাসহ বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পিঠা খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তিরা হলেন- আইয়ুব খান (৬০), মিতা (৩৫), আকলিমা (৩৫), শারমিন (২৩), সুমাইয়া (২২), উম্মে হাবিবা (২১) জান্নাতি (১৫), মেহজাবিন (১০), সামিয়া (০৪), আইজা (০২) ও আজিহা (০১)।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকির হোসেন বলেন, “আমরা রোগীদের হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে উপসর্গ দেখে বোঝা গেছে খাবারের সঙ্গে কীটনাশক জাতীয় কিছু মিশে গেছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করি।

“পাকস্থলী পরিষ্কারসহ তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগের অবস্থা এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকলেও তাদের হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

একইসঙ্গে রান্নাঘরে কীটনাশক, ওষুধ বা ক্ষতিকর দ্রব্য অযত্নে রাখাকে বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করে এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ করেছেন এই চিকিৎসক।

এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জানিয়ে এসআই মোহাম্মদ বিপ্লব হোসেন বলেন, “এটি প্রাথমিকভাবে ভুলবশত ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা। রান্নাঘরে খাবার উপকরণের সঙ্গে বিপজ্জনক সামগ্রী রাখার কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ঘটনার পর এলাকা জুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারটিকে সহানুভূতি জানিয়ে ভবিষ্যতে সচেতনতার ওপর জোর দিয়েছেন সবাই।