Image description

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তার মৃত্যুর খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), এনডিটিভি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতো প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো এই সংবাদ ‘ব্রেকিং নিউজ’ হিসেবে প্রচার করেছে।

কাতারভিত্তিক আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং সেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের অবসান হলো। প্রতিবেদনে তার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেনাশাসনবিরোধী আন্দোলনে আপসহীন অবস্থান এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের দিকটি বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু ও এনডিটিভি জানায়, তার প্রয়াণে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নভেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর ছিল এবং শেষ পর্যায়ে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনকে ‘সংঘাতপূর্ণ’, ‘নাটকীয়’ ও ‘সংগ্রামময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং তাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেছে।