‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের’ পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। একই সঙ্গে ছাত্রদলকে ‘সাহস থাকলে সামনে আসো চান্দাভাই’ বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাকসুর জিএস।
ফেসবুক পোস্টে সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘আল্টিমেটাম দিলাম আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা যদি ক্যাম্পাসে ঢুকে তাহলে জোহা চত্বরে বেঁধে রাখব। এতে ক্যাম্পাসের ছাত্রদল আর বিএনপি রেগে গেছে। ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ একই ভাষায় বিবৃতি দিল। বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা ভিসির কাছে নালিশ দিল তারা নাকি ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছে। বললাম, লীগরে ভয় পাইতেছে বিএনপির টিচাররা।’
আম্মার আরও লেখেন, ‘আরেকটা পয়েন্টে আসি ছাত্রদলের আহ্বায়ক ভিসির চেয়ারসহ পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে চেয়েছিল। এটার থেকে আমার কথাটা বড়? বিএনপির চেতনাবাজদের বিবৃতি কোথায়?’
ছাত্রদলের এক নেতার হুমকির প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাকসুর জিএস বলেন, ‘ছাত্রদলের এক চাচা আজ ঘোষণা দিল ৩০ মিনিটে তালা মেরে দিবে। বলি চাচা শুনেন মন দিয়ে শুনবেন, ২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত কুকুর-বিড়ালের মতো এই ক্যাম্পাসে পড়ে থেকে ক্যাম্পাসের বোঝা হব না। ১ দিন থাকলে থাকার মতো করেই থাকব। একেকজন ১০-১২ বছর ক্যাম্পাসে থেকে কোন কল্যাণে আসছেন, একটু ভেবে দেখেন।’
রাকসুর দায়িত্ব ও গঠনতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে আম্মার আরও লেখেন, ‘রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যা কাজ আছে, সব করতেছি কিনা একবার দেখে যাইয়েন। কাজ করার পরেও যদি রাকসুতে আসছেন ১, ২, ৩, ৪ করে দিব। তার থেকে বড় কথা কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ অছাত্র রাকসুর আশেপাশেও যেন না দেখি। তাদের জন্য রুয়া (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন) আছে, রাকসুতে তাদের কাজ নাই। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের উৎখাতে কাজ করবো। সাহস থাকলে আসো চান্দাভাই।’
এর আগে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাবি ছাত্রদলের স্বাগত মিছিল শেষে সভায় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রদলের সঙ্গে লাগতে আইসেন না, ৩০ মিনিটে “ফুটেজখোর” আম্মারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে সক্ষম ছাত্রদল।’