Md Kawsar Azam
প্রায় ১৩ বছর আগের ঘটনা। আমি তখন ইসলামিক টিভিতে। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। প্রেস ক্লাব এলাকায় এসাইনমেন্ট থাকা অবস্থায় খবর এলো মতিঝিলে নয়া দিগন্ত অফিসে আগুণ দেওয়া হয়েছে। ছুটে গেলাম। সালাহউদ্দিন বাবর ভাইয়ের (তৎকালীন নির্বাহী) গাড়ি আগুনে দগ্ধ। মতিঝিলে লীগ এবং পুলিশের তান্ডব। নেতৃত্বে ছিলেন তখনকার মতিঝিল জোনের এডিসি মেহেদী হাসান। নয়া দিগন্তের সহকর্মীরা জানান, নয়া দিগন্ত অফিসে রেইড দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নয়া দিগন্তের কর্মী মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেন এই মেহেদী।
চরম দলবাজ হিসেবে তখন যে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম তখন উচ্চারিত হয়, মেহেদী অন্যতম। একটি জাতীয় দৈনিক অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ হলো, কিন্ত সুশীল এমন কী আজকের এতো এতো পরিষদ, নিরব। তবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্দা জানিয়েছিলেন। এরপর আমারদেশ, সংগ্রাম অফিস আক্রান্ত হলো। হামলার শিকার হলেন সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও আবুল আসাদ। কিন্ত সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের হর্তা কর্তারা তাদের সাংবাদিকই মনে করলেন না। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী আরো কিছু মিডিয়ায় হামলা হয়েছে। কেউ কেউ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ হামলা হলো প্রথম আলো, ডেইলি স্টার অফিসে। এটার তীব্র নিন্দা জানাই। কিন্তু কারা করলো এই হামলা? কাদের লাভ এতে? বিপ্লবী হাদীকে গুলি করার কয়েক দিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব মিডিয়ায় এ নিয়ে হৈ চৈ হওয়ার কথা। কিন্ত এটিকে থামাতে আগের মতোই হাদী ইস্যু কিল করার প্রয়াস একটি চক্রের। তারাই
হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে গণমাধ্যমের অফিসে হামলা করেছে কিনা খতিয়ে দেখা উচিত। তবে, মাথায় টুপি থাকলেই তাকে কোনো রাজনৈতিক দলের তকমা দেওয়ার সংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে আাসা উচিত।