Image description

দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার প্রহর গুনছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন—এমন প্রত্যাশিত খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিএনপিতে চলছে উৎসবের আমেজ। দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাঙ্গা ভাব চোখে পড়ার মতো। এদিকে দেশে ফিরেই নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়বেন তারেক রহমান। সময় বিবেচনায় রেখে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ আয়োজনের কথা ভাবছে বিএনপি। জনসভাগুলোয় তারেক রহমান সশরীরে অংশগ্রহণ করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। অন্যদিকে তারেক রহমানের বহু প্রতীক্ষিত আগমন ঘিরে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো এখন মহাব্যস্ত। দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতাকে বরণ করতে চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন কেন্দ্র করে অভ্যর্থনা ও সাংগঠনিক তৎপরতা সমন্বয়ের জন্য গঠিত হচ্ছে একাধিক বিশেষ কমিটি। এই কমিটিগুলোর তত্ত্বাবধানেই কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রস্তুতি হলো—

রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারম্যানের বাসা ও কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে অবস্থিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত কক্ষের বিশেষ সাজসজ্জা। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই উভয় কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের বসার জন্য নির্ধারিত কক্ষের সাজসজ্জা চূড়ান্ত হবে। দরজা লাগানো বাদে মোটামুটি প্রায় সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, যা গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনেও জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন তারেক রহমান। এই বাসার পাশেই ভাড়া করা বাসা ‘ফিরোজা’য় থাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা চেম্বারও তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলশানে আরেকটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে, যেটি থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন তারেক রহমান

 

টানা ১৮ বছর লন্ডনে নির্বাসিত থাকার পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে নিজের অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে দেখতে যাবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনি অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় করবেন। তবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারে অংশগ্রহণ করবেন তারেক রহমান। বিষয়টি তিনি নিজেই গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে খোলাসা করেছেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি নির্বাচনী প্রচারে নিজে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নেতাকর্মীদের তুমুল করতালির মধ্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে, ওয়ার্ডে-মহল্লায়, অলিগলিতে, রাজপথে জনগণের নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার এই নির্বাচনে মিছিলে আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকব।

 

প্রস্তুত হচ্ছে তারেক রহমানের বাসা

বিএনপি সূত্র জানায়, তারেক রহমানের বাসভবনের জন্য ঠিক করা হয়েছে গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসাটি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়াকে এ বাড়িটি বরাদ্দ দেন। কয়েক মাস আগে এ বাড়ির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন অন্তর্বর্তী সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু। সে বাড়িতেই উঠবেন তারেক রহমান। এরই মধ্যে এ বাসার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে আপাতত মায়ের সঙ্গে ‘ফিরোজা’য় থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দেখা গেছে, নতুন বাসার সামনে নিরাপত্তা ছাউনি বসানো হয়েছে। সড়কের সামনে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীরা জানান, এখানে তারেক রহমান থাকবেন, সেজন্য এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সংস্কার হচ্ছে চেয়ারম্যানের গুলশান কার্যালয়

রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়টি বরাবরই দলের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণের কেন্দ্রবিন্দু। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার এ কার্যালয়টি তারেক রহমানেরও অন্যতম প্রধান কর্মক্ষেত্র হতে যাচ্ছে। গুলশান কার্যালয়ে চেয়ারপারসনের চেম্বারের পাশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও আলাদা চেম্বার তৈরি করা হয়েছে তার জন্য। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন এবং মহাসচিবের আলাদা চেম্বার আছে। এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্যও আরেক চেম্বার করা হলো। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গুলশান কার্যালয়ে তারেক রহমানের বসার জন্য নির্দিষ্ট কক্ষটিকে নতুন করে সাজানোর কাজ চলছে। কক্ষটির ভেতরের সাজসজ্জা সাদামাটা হলেও আধুনিকতার ছোঁয়া থাকছে। সেখানে দীর্ঘ কর্মঘণ্টার উপযোগী করে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি চেয়ার ও টেবিল থাকছে। বিশেষ করে, ডিজিটাল যোগাযোগ ও নথিপত্র ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনও থাকবে। সেইসঙ্গে একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এবং টেলিভিশন থাকবে। পাশাপাশি কয়েকজন বসা যায়—এমন একটি লাউঞ্জও থাকছে। এ ছাড়া তারেক রহমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কক্ষ এবং সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা প্রটোকল জোরদার করা হয়েছে।

জানা গেছে, গুলশান কার্যালয়ের কক্ষটির সাজসজ্জায় তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কিছু স্থিরচিত্র এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ছবি স্থান পাবে। এর মাধ্যমে অতীতের ঐতিহ্যের সঙ্গে বর্তমান নেতৃত্বকে সংযুক্ত করার একটি প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। তারেক রহমানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার সুবিধার্থে তার ব্যক্তিগত সচিব ও নিকটস্থ কর্মকর্তাদের জন্য সংলগ্ন কক্ষগুলোর সংস্কারকাজও প্রায় শেষ হয়েছে। গুলশান কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, স্যার (তারেক রহমান) যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বাইরে ছিলেন, তাই তার বসার কক্ষটিকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী আরামদায়ক ও কার্যকর করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি কেবল একটি অফিস কক্ষ নয়, এটি বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের কেন্দ্রবিন্দু হবে।

অফিস করবেন নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও

ঢাকার নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি দলের কেন্দ্রীয় কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। এটি মূলত নেতাকর্মীদের মিলনক্ষেত্র এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মিলনস্থল। নয়াপল্টনে তারেক রহমানের আগমন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে যেন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। নয়াপল্টন কার্যালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষ বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো—তারেক রহমান যেন তৃণমূলের নেতাকর্মী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করতে পারেন। গুলশান কার্যালয়ের তুলনায় নয়াপল্টনের কক্ষটির সাজসজ্জা কিছুটা সাদামাটা হলেও এটি অত্যন্ত কর্মমুখী। এখানে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে তিনি সহজেই দলীয় বৈঠকেও অংশ নিতে পারেন। জানা যায়, কক্ষের পাশে একটি অপেক্ষার স্থান তৈরি করা হয়েছে, যেখানে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতা বা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। এ উদ্যোগটি মাঠপর্যায়ের সংগঠকদের সঙ্গে তারেক রহমানের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক এমপি রশিদুজ্জামান মিল্লাত গতকাল কালবেলাকে বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরবেন, সেজন্য তার বসার স্থান সংস্কার করাটা স্বাভাবিক। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে দলের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তিনি গুলশানে এবং নয়াপল্টন কার্যালয়ে বসবেন। এরই মধ্যে গুলশান ও নয়াপল্টন কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কক্ষ নতুনভাবে সাজানোর জন্য সংস্কারকাজ চলমান আছে। প্রয়োজনীয় চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র বসানো হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই দুই কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের কক্ষের নতুন দরজাগুলো লাগানোর কাজ শেষ হবে।

তারেক রহমানকে বরণ করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি

এদিকে ১৮ বছর লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য শুধু কার্যালয়ের কক্ষ প্রস্তুত নয় বরং তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে বিএনপির সার্বিক সাংগঠনিক প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীরাও এই বিশেষ দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতাকে বরণ করার লক্ষ্যে গত সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এক যৌথ সভা হয়। এতে তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে, ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশাল জনসমাগমের মাধ্যমে তাকে বরণ করে নেওয়া হবে। এ অভ্যর্থনা শোভাযাত্রাটি বিমানবন্দর থেকে গুলশান কার্যালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এরই মধ্যে দলের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থেকে বাছাই করা দক্ষ কর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠনের কাজ চলছে, যা তারেক রহমানের পুরো যাত্রাপথে এবং কার্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশবাসী আমাদের নেতার অপেক্ষায় আছে। ২৫ ডিসেম্বর দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সড়কের দুই পাশে সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান নিয়ে প্রিয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। আমরা সেই প্রস্তুতির কাজ করছি।

জানা যায়, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ নির্ধারণ হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নিয়মিত বৈঠক ও প্রস্তুতি সভা এখন দ্বিগুণ উৎসাহে চলছে। বসে নেই বিএনপিপন্থি পেশাজীবী সংগঠনগুলোও। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা মনে করছেন, তারেক রহমানের এ প্রত্যাশিত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকবদল ঘটাবে। বিশেষ করে দীর্ঘদিন পর মাঠের রাজনীতিতে তার সরাসরি উপস্থিতি দলকে আরও বেশি সুসংগঠিত করবে এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনকে নতুন মাত্রা দেবে।

বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান গতকাল কালবেলাকে বলেন, তারেক রহমান শুধু এখন বিএনপির নন দেশের সমগ্র মানুষের নেতা। দীর্ঘদিন পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশের মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ এবং উৎসাহ তৈরি হয়েছে। রাজধানী ছাড়াও সমগ্র দেশের মানুষ ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানকে বরণ করতে ঢাকায় আসবেন। এরই মধ্যে ইউট্যাবের সব ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঢাকায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

গুলশানে নতুন নির্বাচনী অফিস

এ ছাড়া গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের ১০/সি বাড়িটি নির্বাচনী অফিস হিসেবে ভাড়া নিয়েছে বিএনপি। ভবনটির চতুর্থ তলায় রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দোতলায় রয়েছে ব্রিফিং রুম। অন্যান্য তলায় বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বসার ব্যবস্থা এবং গবেষণা সেল রয়েছে, যা গতকাল চালু করা হয়েছে। নতুন অফিস খোলার পর গতকাল বিকেলে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, এটি বিএনপির একটি কার্যালয়। এখান থেকে নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরবেন ইনশাআল্লাহ। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে গণমানুষের মাঝে রয়েছে তীব্র আবেগ, আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহ।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আমরা সবাই এখন অধীর আগ্রহে সময় গুনছি—কখন আমাদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের মানসপুত্র আধুনিক স্বনির্ভর রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঢাকার মাটি পা রাখবেন। আমাদের সব প্রস্তুতি তাকেই ঘিরে। দেশের মানুষ যেমন প্রত্যাশা করছে, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নেতা হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবেন।