Image description
 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে স্বাধীনতার পক্ষে থাকা প্রতিটি মানুষই এক একজন ‘ওসমান হাদি’। কাউকে আক্রমণ বা দমন করে দেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীনতাকে থামিয়ে দেওয়া যাবে না। এক উসমান হাদির বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো হলে তার প্রতিক্রিয়ায় আরও বহু ওসমান হাদির জন্ম হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জনগণ আর কোনো আপস করবে না।

 

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীর ওপর গুলির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

 

সারজিস আলম বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি সেই শক্তিগুলোর হাত থেকে, যারা একাত্তরে এই দেশের স্বাধীনতাকে ভিন্ন দেশের কাছে ‘বিক্রি’ করার অপচেষ্টা করেছিল। ওই শক্তিগুলো এখনো বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এগিয়ে যেতে দিতে চায় না।

তিনি বলেন, ২৪ এর অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই চেষ্টার পরও আমরা শকুনদের নজর এড়াতে পারিনি। দুই বছর পার না হতেই এসব শক্তি আবারও দেশের মন্ত্রিত্ব, স্বাধীনতা ও বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

 

সারজিন আলম আরও বলেন, এক উসমান হাদিকে আক্রমণ করে রক্ত ঝরিয়ে গোপনে পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আবারও পরাধীন করার চেষ্টা চলছে। অতীতে আবু সাঈদকে দমন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু একজন আবু সাঈদের পর জন্ম নিয়েছে লক্ষ আবু সাঈদ। একইভাবে ভবিষ্যতে একজন ওসমান হাদির পর লক্ষ ওসমান হাদি তৈরি হবে।

ভারতের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভারত আশ্রয় দিলে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে এমনটি ভাবা ভুল। এ ধরনের অবস্থান থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কখনো স্বাভাবিক হবে না। বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্ক্ষা, দাবি ও প্রত্যাশা যদি ভারতীয় হাইকমিশন যথাযথভাবে ভারতের কাছে তুলে ধরতে না পারে, তাহলে এ দেশে ওই কমিশনের উপস্থিতির নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।