রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও শাশুড়ি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার ‘টাইম টু টাইম’ খোঁজখবর রাখছেন ডা. জুবাইদা রহমান।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে বাবার বাড়ি ‘মাহবুব ভবন’ থেকে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতালটিতে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন শনিবার রাত ৯টার দিকে কালবেলাকে বলেন, ‘ভাবী এখনো এভারকেয়ার হাসপাতালে রয়েছেন। মেডিকেল বোর্ডের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করবেন। তারপর যথারীতি ধানমন্ডিতে পৈতৃক বাসভবনে যাবেন। রাতে সেখানেই থাকবেন।’
রুমন আরও বলেন, উনি (ডা. জুবাইদা) সার্বক্ষণিক বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা দেখভাল করছেন। ধানমন্ডির বাসায় থাকার সময়েও টেলিফোনে ‘টাইম টু টাইম’ তার শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখছেন।
খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই মেডিকেল বোর্ডে ডা. জুবাইদা রহমানও সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক বলেন, ম্যাডামের বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান নিয়মিত হাসপাতালে আসছেন। তিনিও মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন।
বেগম জিয়ার লন্ডনযাত্রায় সঙ্গী হতে গত শুক্রবার সকালে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান ডা. জুবাইদা। এরপর শাশুড়িকে দেখতে বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১২টার দিকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় এভারকেয়ারে ছিলেন তিনি।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডিতে পৈতৃক বাসায় যান। পরে রাতে আবার তিনি হাসপাতালে আসেন। এরপর সেখান থেকে ধানমন্ডিতে প্রয়াত বাবার বাড়িতে যান তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও বিমান ভ্রমণের মতো উপযুক্ত নয়। সেজন্যই উন্নত চিকিৎসায় তার লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে। বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলেই তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে।