সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থ নিয়ে সারাদেশ উদ্বিগ্ন। তার রোগমুক্তির প্রার্থনায় ঐক্যবদ্ধ দেশের মানুষ। দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, তারেক রহমান, জামায়াত, বিএনপির মহাসচিবসহ সকল ব্যক্তিবর্গ। এই সংকটের মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তার পরিবার, বিশেষ করে সন্তান তারেক রহমান।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বর্তমানে লন্ডনে অবস্থানরত। মায়ের অসুস্থতায় বিপর্যস্ত হলেও এখনও সরাসরি পাশে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না—যার কারণে সারাদেশে আলোচনায় এখন তারেক রহমান কবে দেশে আসবেন। তবে তারেক রহমান দেশে না আসার নেপথ্যে কিছু কারণ রয়েছে। তিনি নিজেও ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন। এছাড়াও আরও কিছু জটিলতার কথা জানিয়েছেন দলটির একাধিক সূত্র।
তারেক রহমান পোস্টে বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য সবের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীনও নয়।’
দলটির সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা গেছে ৫ কারণে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে দেশে ফেরা হচ্ছে না বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তার মধ্যে- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কূটনীতি, চরম স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত নিরপত্তা ইস্যু, পাসপোর্ট জটিলতা, ট্রাভেল পাস ও বিভিন্ন রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের মারপ্যাঁচ।
যদিও ‘মা’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণের মধ্যে আলোচনা-গুঞ্জন শুরু হয় যেকোনো মুহুর্তে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। যদিও মায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে তিনি দ্রুতই দেশে ফিরতে পারেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছেন।
আর সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন, খুব শিগগিরিই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। তিনি শিগগিরিই আসবেন—অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বিএনপি।
সালাহউদ্দিন আহমদের সর্বশেষ এই বক্তব্যের পর পরই আবার শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন এবং অন্য গণমাধ্যমে তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঝড়। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে তারেকের দেশে প্রত্যাবর্তন বলে জানিয়েছে দলটির আরেকটি সূত্র।
যদিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার উপর নির্ভর করছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নয়াপল্টনে একটি কমিউনিটি সেন্টারে যুবদল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার মতো শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ছেলে তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। পরিস্থিতি যদি অপরিবর্তিত থাকলে শিগগিরই তিনি দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মা খালেদা জিয়াকে যদি তার চিকিৎসায় গঠিত চিকিৎসা বোর্ড (দেশী-বিদেশী) বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব দেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আগের মতোই ইউকের লন্ডন ক্লিনিক হসপিটালে নেওয়া হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
গেল ২৩ নভেম্বর রবিবার রাত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এবার খালেদা জিয়া হাসপাতালে যাওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-গুঞ্জন শুরু হয় অসুস্থ মায়ের পাশে থাকতে কবে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান?
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে অন্তবর্তি সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই। তিনি এখনও ট্রাভেল পাস চাননি। চাওয়ামাত্রই তা ইস্যু করা হবে। তাকে দেশে ফিরতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার। পাশাপাশি উপদেষ্টা আরও বলেন, খালেদা জিয়া দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে চাইলে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে সরকার। তবে সিদ্ধান্ত দল ও পরিবারের।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার কাছাকাছি সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহস্পর্শ পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যে কোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে। কিন্তু অন্য সবের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীনও নয়—তারেক রহমান, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিএনপি।
তিনি বলেন, আজকে ইউকে থেকে উনাকে (খালেদা জিয়া) দেখার জন্য বিশেষজ্ঞরা আসবেন এবং উনারা দেখবেন। দেখার পরবর্তীতে উনাকে যদি ট্রান্সফারেবল হয়, আমাদের যদি ট্রান্সফার করার প্রয়োজন পড়ে, উনার মেডিকেল বোর্ড মনে করে তখনই উনাকে যথাযথ সময়ে উনাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের সকল প্রস্তুতি আছে। কিন্তু সর্বোচ্চটা মনে রাখতে হবে যে রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং সর্বোপরি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের বাইরে কোন কিছু করার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের নেই।
এ সময় ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেই চিকিৎসা উনি (বেগম খালেদা জিয়া) সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন অথবা আমরা যদি বলি উনি মেনটেইন করছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যাতে দেশবাসীর দোয়া, সারা পৃথিবীর অনেক মানুষের উনার প্রতি ভালোবাসা এবং দোয়ার কারণে হয়তো বা উনি এই যাত্রায় সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আমরা আশা করি।
বিএনপি সূত্রমতে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাবে পরিবার ও দল। তাদের বাইরে সব রকমের সহযোগিতার কথা বলে আসছে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারও।
সেক্ষেত্রে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবার-স্বজনদের প্রথম পছন্দই বৃটেন। সেখানে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য টানা ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান করে ‘লন্ডন ক্লিনিক হসপিটালে’ চিকিৎসা গ্রহণ করেন। লন্ডন ক্লিনিক হসপিটালের প্রফেসর ডা. প্যাট্টিক কেনেডি ও প্রফেসর জেনিফার ক্রস খালেদা জিয়াকে নিবির পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত লিভার অপারেশন করেন।
সেখানে কিছুদিন ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধু ডা. জোবায়দা রহমান এবং নাতনি জায়মা রহমান, ছোটপুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান এবং তাদের দুই কন্যা জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গে পারিবারিক পরিবেশে বেশ কিছুদিন সময় কাটান। ফাঁকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিয়ে বেশকিছুটা সুস্থ হয়েই গেল ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
জানা যায়, ভ্রমন উপযোগি হলেই কাতার আমীরের প্রেরিত রাজকীয় কাতার এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে আবারও বিএনপি চেয়ারপারসনকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হবে। এয়ার এ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে ঢাকাস্থ রাজকীয় কাতার দূতাবাসের মাধ্যমে বিএনপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কাতার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজন মূহুর্তেই কাতার সরকার এয়ার এ্যাম্বুলেন্স প্রেরণ করবে।
বিএনপি সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিরামহীনভাবে দেশী বিদেশী চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল টিমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তার সহধর্মীনি বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. জোবায়দা রহমান ইউকে’র বিখ্যাত হসপিটাল ‘লন্ডন ক্লিনিকে’র বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডা. প্যাট্টিক কেনেডি, জেনিফার ক্রসের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের পরামর্শ চিকিৎসা বোর্ডকে নিয়মিত অবহিত করে যাচ্ছেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন ধরনের গুজব, বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য বিভিন্ন জায়গায় দেখার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিকভাবে উনার চিকিৎসার তদারকি করছেন। চিকিৎসার সমস্ত বিষয়ে উনি দেশী-বিদেশী চিকিৎসকদের সাথে আমাদের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৩ নভেম্বর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতত্বে দেশী-বিদেশী চিকিৎসকরদের সমন্বয়ে মেডিকেল বেগম জিয়ার চিকিৎসা সেবায় কাজ করছেন। ওনার মেডিকেলের বোর্ডের চিকিৎসকরা রয়েছেন, বিশেষ করে ইউকে, ইউএস, বাংলাদেশসহ সব চিকিৎসকরা সমন্বিতভাবে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় আরও ব্যাপক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবির চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
‘প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এই মেডিকেল বোর্ড রয়েছেন, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এ কিউ এম মহসিন, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক জিয়াউল হক, অধ্যাপক মাসুম কামাল, অধ্যাপক এজেড এম সালেহ, অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম এবং ডাক্তার জাফর ইকবাল. বাংলাদেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রফেসর হাবিবুর রহমান , প্রফেসর রফিকউদ্দিন আহমেদ এবং প্রফেসর জন হ্যামিল্টন, প্রফেসর ডক্টর হামিদ রব, যুক্তরাজ্য থেকে প্রফেসর জন পেট্রিক, প্রফেসর জেনিফার ক্রস এবং ডাক্তার জোবায়দা রহমানসহ আমেরিকা, ইউকে এবং বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যৌথভাবে গঠিত মেডিকেল টিম কাজ করছেন।
ওনারা ছাড়াও বিদেশের বিশেষ করে ইউকে, ইউএসএ, চায়না, সৌদি আরব, কাতার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর এমনকি ভারতের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। আমাদের অনেক সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধান এই চিকিৎসার ব্যাপারে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। তিনি শিগগিরিই আসবেন।’
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। এরপর করোনাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। পরে ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। যদিও চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর এরপর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। পরে তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।