বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, একটি দেশের সবচেয়ে মূল্যবান যন্ত্র হলো 'রাষ্ট্রযন্ত্র'। আর এই রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনায় কোন দল সক্ষম তা জনগণই ভোটের মাধ্যমে বেছে নেবে। তিনি বলেন, জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৯০’র ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি অতীতে বহুবার রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করেছে। তাই একটি দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে, একটি দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ কিভাবে হবে, কিভাবে একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে, সে ব্যাপারে বর্তমানে বিএনপি সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল। সুতরাং আগামী নির্বাচনে বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে একটি প্রকৃত অর্থবহ রাষ্ট্র নির্মাণ করবে।
তিনি আরও বলেন, একটি রাজনৈতিক দল অতীতে বিএনপি'র সঙ্গে জোট বন্ধ হয়ে সরকারে ছিল। অথচ তাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশ পরিচালনায় তারাই সবচেয়ে অভিজ্ঞ। যাদের এককভাবে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা কতটুকু তা দেশবাসী জানে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে দেশে যে অরাজক পরিস্থিতি, সেখান থেকে উত্তরণে ও একটা সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। বিএনপি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গত প্রায় সাড়ে ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। রক্ত ঝরিয়েছে, গুম খুন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।
শহীদ ড. শামসুজ্জামান মিলনের আত্মত্যাগের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ড. মিলনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জীবন দিয়েছেন। সেদিন মিলন হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই স্বৈরাচার এরশাদের পতন ত্বরান্বিত হয়। তাই মিলনের অবদান কখনোই অস্বীকার করা যাবে না। দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একজন বীর সেনানি হিসেবে মিলনকে স্মরণ করবে।
শীর্ষনিউজ