কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ফেসবুক পোস্ট ও বক্তব্য নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয়েছে শহীদ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ কার্যালয় ও পাঁচটি মোটরসাইকেল। পরে কালিকাপুর ইউনিয়নের রাজারবাজার এলাকায় ইসলামী পাঠাগারেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
জানা গেছে, রবিবার জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের আরব হোসেন রাজু নামের বিএনপির এক সমর্থকের ফেসবুক পোস্ট ও স্বেচ্ছাসেবকদলের সভায় দেওয়া বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ দাবি করে জামায়াতের কয়েকজন সমর্থক সন্ধ্যায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে গিয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম রাশেদের নেতৃত্বে কয়েকজন জামায়াত সমর্থকদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। পরে জামায়াত সমর্থকরাও পাল্টা হামলা চালান। এতে রফিক মেম্বার, তপনসহ উভয়পক্ষের ৮–১০ জন আহত হন। একই সময়ে ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং আরব হোসেন রাজুর বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পরবর্তী সময়ে ছাত্রদলের একটি অংশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি সমর্থকেরা জামায়াত কর্মী ইসমাইল হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন বলেন, ‘ছাত্রদলের হামলায় আমাদের কর্মী ইসমাইল আহত হয়েছেন। পরে রাজারবাজার ইসলামী পাঠাগারও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম রাজু বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। জামায়াতের হামলায় আমাদের ৮–১০ জন আহত হয়েছে।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।