আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এ প্রস্তাব দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান আজকের সংলাপে বলেন, নির্বাচনে কয়েক লাখ নির্বাচন কর্মকর্তা প্রয়োজন। ইসির এত লোকবল নেই। কিন্তু ইসির যতটুকু জনবল আছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। ৩০০ আসনে সরকারের কাছ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ধার করে আনা হয়। ইসির এটুকু জনবল আছে।
ইসির উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, একবার সাহস করে এই সিদ্ধান্ত নেন যে রিটার্নিং অফিসার আপনাদের নির্বাচন কমিশন থেকে থাকবে। অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার আপনাদের নির্বাচন কমিশনের ডেডিক্যাটেড লোকেরা হবেন। এই একটা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে।
আবদুল মঈন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চারটি বোতাম আছে। একটি হচ্ছে ডিসি, একটি হচ্ছে এসপি, একটি হচ্ছে ইউএনও, আরেকটি হচ্ছে ওসি। এ চারটি বোতাম টেপা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে, এরপর ৩০০ আসনে নির্বাচনের ফলাফল বের হয়ে আসে। এ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
ইসিকে শক্ত ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা ইসিকে সব সহায়তা করবেন। কিন্তু ইসিকে শক্ত থাকতে হবে। সরকারের কাছে ইসি নতজানু থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনাররা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ক্ষেত্রবিশেষে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগেও বিভিন্ন নির্বাচনের আগে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের এই দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছিল।