Image description

সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট–কোম্পানীগঞ্জ–জৈন্তাপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন–প্রত্যাশী চৌধুরী বংশের দুই নেতার শক্তির প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে শনিবার দিনভর গোয়াইনঘাট উপজেলায় ছিল আগাম নির্বাচনী উত্তাপ। স্থানীয়রা দিনব্যাপী এই কার্যক্রমকে দেখছেন ‘পাল্টাপাল্টি শোডাউন’ হিসেবে—যেখানে মাঠের লড়াইয়ে ‘কেউ কারও চেয়ে কম নন’ অবস্থাই স্পষ্ট হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের দুইবারের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সভায় দলীয় মনোনয়ন, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও স্থানীয় নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।

আরিফুল হক বলেন, দলের সিদ্ধান্তে আমি আপনাদের খেদমতে এসেছি। নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যেই গোয়াইনঘাটের চিত্র বদলে যাবে।

সভা শেষে তার নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। এরপর তিনি গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করেন। জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারাও তার পাশে ছিলেন।

অন্যদিকে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলা সদরের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় বিএনপির আরেকাংশ। তারা স্লোগান দিতে দিতে সিলেট-৪ আসনে আবদুল হাকিম চৌধুরীকে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার দাবি তোলে। স্লোগান শোনা যায়— ‘লোকাল না বাইরা, লোকাল লোকাল’, ‘হাকিম ভাই হাকিম ভাই, হাকিম ছাড়া উপায় নাই’।

আবদুল হাকিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জৈন্তাপুরে জামায়াতের প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হলে একজন স্থানীয় ও শক্তিশালী প্রার্থী প্রয়োজন। স্থানীয়রা তাই আমাকে মনোনীত করার দাবিতে কর্মসূচি করছে। তবে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

অন্যদিকে, জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন দলটির জেলা কমিটির সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন।

স্থানীয়দের মতে, বিএনপির দুই সম্ভাব্য প্রার্থীর এই মহড়া–শোডাউন আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে সিলেট-৪ আসনের রাজনৈতিক সমীকরণকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।