Image description
জুলাই ছাত্র-জনতা হত্যা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নিউক্লিয়াস ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলনের সেই উত্তাল সময়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যার হুকুমদাতা হিসাবে সব অপরাধের দায় তার-প্রসিকিউশন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে তা উপস্থাপন করেছে। ৫টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জুলাই হত্যাসংক্রান্ত অপরাধের নিউক্লিয়াস হিসাবে শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেছে প্রসিকিউশন। ১৪০০ আন্দোলনকারীকে হত্যা; হত্যায় উসকানি; প্ররোচনা ও নির্দেশদাতা; ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’-এসব অভিযোগ প্রমাণে প্রসিকিউশন ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য, ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগ, আলামত হিসাবে ৬৯টি অডিও ক্লিপ, ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর এবং ১৭টি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয় ১০৫ দিনে। যুক্তিতর্কের সমাপনী দিনে ট্রাইব্যুনালের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে প্রসিকিউশন।

আগামীকাল সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক প্যানেল শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবেন। এ রায় জানার জন্য সমগ্র জাতি উদ্গ্রীব হয়ে আছে। বিশেষ করে জুলাইয়ে নিহত শহীদপরিবার, আহতদের পরিবার ও জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত সব পক্ষই রয়েছে প্রতীক্ষায়। তাদের প্রত্যাশা, জুলাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র-জনতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনার উপযুক্ত শাস্তি হতে হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিগত সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগে পৃথক তদন্ত ও বিচার শুনানি চলছে।

১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হয়। বিচার শুনানি চলাকালীন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রসিকিউশন জুলাই হত্যাকাণ্ড ও অপরাধ প্রমাণে তথ্য-উপাত্ত সবিস্তার তুলে ধরে। হেলিকপ্টার থেকে গুলি, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূলে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদ্যতাগ করে পালিয়ে যাওয়ার দিন রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই দিন আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে পুলিশ। প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকলে তার অধীন অন্য অপরাধীরা বিশ্বাস করতেন তারাও টিকে থাকবেন। শত অপরাধ করা সত্ত্বেও তারা নিরাপদে থাকবেন। শুধু তাই নয়; আনুগত্যের জন্য পুরস্কৃতও হবেন বলে মনে করতেন। এজন্য শেখ হাসিনাকে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হবে-এমন চেষ্টা ছিল তাদের। এমন চেষ্টা থেকেই কিলিং মিশনে নেমেছিল শেখ হাসিনার অধীন সব বাহিনীর কিছু অংশ। প্রসিকিউশন শেখ হাসিনাকে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ ও তাকে টিকিয়ে রাখতে হত্যায় সহযোগীদের ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’ হিসাবে উপস্থাপন করেছে।

শুনানিকালে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনে পুলিশ ও র‌্যাবের হেলিকপ্টার ৩৬ বার উড্ডয়ন করে। ওই সময় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, সুনামগঞ্জ, সিলেট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধায় উড্ডয়ন ও অবতরণ করেছে হেলিকপ্টার। গণ-অভ্যুত্থানের সময় হেলিকপ্টার ব্যবহারের দুটি ভিডিও দেখানো হয়। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, র‌্যাবের হেলিকপ্টার ঢাকার আকাশে উড়ছে এবং সেই হেলিকপ্টার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের হেলিকপ্টার থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ধোঁয়া উড়ছে। প্রসিকিউশন বলেছে, বাস্তবে আন্দোলনে গুলি হয়েছে ৫ হাজার রাউন্ড, হিসাব দিয়েছে ১০০ রাউন্ডের। হেলিকপ্টারে কত গোলাবারুদ তোলা হয়েছিল, কত গোলাবারুদ ফায়ার (ব্যবহার) করা হয়েছে এবং কত গোলাবারুদ অবশিষ্ট আছে, সেসবের তথ্যও তারা পেয়েছেন।

এ মামলায় তৃতীয় আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়েছেন। তিনি এই গণহত্যার পেছনের ঘটনা উন্মোচন করেছেন। একই সঙ্গে নির্দেশদাতা এবং বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নামও উঠে আসে তার জবানবন্দি থেকে। সাক্ষীদের জবানবন্দি, শেখ হাসিনার ফোনালাপের অডিও এবং ভিডিও ক্লিপ থেকে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। তথ্যপ্রমাণে ওঠে আসে- জুলাই আন্দোলন দমনে ‘লেথাল উইপন’ ব্যবহার করে সরাসরি গুলির নির্দেশে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয় করে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বোম্বিং করার কথা বলেছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপিত ডকুমেন্টসে শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণের তৎকালীন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এসএম মাকসুদ কামাল এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনের চারটি অডিও আদালতে উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা। জবানবন্দিতে তানভীর হাসান জোহা আরও জানান, শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘লেথাল উইপন’ ব্যবহার করে সরাসরি গুলির নির্দেশে দিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয় করে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বোম্বিং করার কথা বলেছিলেন এবং পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

পাঁচটি অভিযোগ : শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের সবিস্তারে বর্ণনা করে প্রসিকিউশন। প্রথম অভিযোগ-গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে। এতে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন ও অন্যান্য অমানবিক আচরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় অভিযোগ-হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও অধীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে সেই নির্দেশ কার্যকর করেন। তৃতীয় অভিযোগ-রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ-রাজধানীর চানখাঁরপুলে আন্দোলনরত নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। পঞ্চম অভিযোগ-আশুলিয়ায় নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সঙ্গে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসাবে প্রত্যক্ষদর্শী ও জীবিত ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য, অপরাধ সংঘটনের সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ, ড্রোন ও সিসিটিভি ফুটেজ, আসামিদের টেলিফোন সংলাপের অডিও ক্লিপ, ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণের ফরেনসিক প্রতিবেদন, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য, ছবি ও ভিডিও, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থা থেকে পাওয়া দাপ্তরিক নথিপত্র প্রভৃতি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়। গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দশম শ্রেণির ছাত্র শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস। আনাসের মা সানজিদা খান দিপ্তী এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। শনিবার রায়ের প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে যুগান্তরকে তিনি বলেন, আমার নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য মৃত্যুদণ্ড শেখ হাসিনার উপযুক্ত শাস্তি।

জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম শনিবার যুগান্তরকে বলেন, জুলাই আন্দোলনে ১৪শর বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুরুতর জখম করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৯০ জনের দুই চোখ এবং হাজার খানেক মানুষের এক চোখ অন্ধ হয়েছে। সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে এই আক্রমণগুলো করা হয়েছে; যা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আমরা চাই দুইজনের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।

আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন শনিবার যুগান্তরকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ আছে। ১৭ নভেম্বর রায়ের জন্য ধার্য আছে। আশা করছি, আমার মক্কেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ মামলা থেকে খালাস পাবেন। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অডিও-ভিডিও বিচারে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা আইনগতভাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কারণ, এসব অডিও-ভিডিও সিআইডি থেকে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সিআইডি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে সবই সরকারের লোক রয়েছেন। বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য এসব অডিও-ভিডিও বিদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ফরেনসিক করানো উচিত ছিল।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জুলাই আদালত অবমাননার একটি মামলায় তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এটিই তার প্রথম সাজা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুন ও নির্যাতনের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলা রয়েছে। মতিঝিলের শাপলা চত্বরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের হত্যা-নির্যাতনের অভিযোগে করা একটি মামলায়ও শেখ হাসিনা আসামি।