Image description
 

গাজীপুরের শ্রীপুরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতিসহ তিনজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল নিয়ে রড, জিআই পাইপ ও হেমার দিয়ে তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হামলাকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে নগদ প্রায় সোয়া লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজারের পাশে কোষাদিয়া নামক স্থানে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। রাতেই আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সোহেল সরকার বাদী হয়ে রাতেই শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আহতরা হলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি, উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মো. সোহেল সরকার (৩৫), এনামুল হক (৩৫) এবং আল আমীন (৩২)।

অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মোখলেছ মাষ্টারের ছেলে রাসেল শেখ (২৬), তারিফ (২৫) ও জাহিদ (২৪) এবং তাদের ১১ সহযোগীসহ অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোহেল সরকার তার সঙ্গে এনামুল ও আল আমীনকে নিয়ে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। কোষাদিয়া নামক স্থানে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পিস্তলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশার গতিরোধ করে। এরপর ২০ থেকে ২২ জনের সন্ত্রাসী দল এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। রড, হেমার ও জিআই পাইপ দিয়ে তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। একপর্যায়ে তারিফ এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে, “তোর কই গুলি করবো বুকে না মাথায়।” অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ প্রায় সোয়া লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।

ভুক্তভোগী সোহেল সরকার বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই মামলাসহ একাধিক অস্ত্র ও মাদক মামলার পলাতক আসামি। আমরা এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। এ কারণে রাসেল তার দলবল নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আমাদের সময়