Image description
 

অক্টোবরে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ কর্তৃক তিন দফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ সত্ত্বেও ইরানের তেল রপ্তানি হ্রাস না পেয়ে বরং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা ওয়াশিংটনের 'সর্বোচ্চ চাপ নীতি'-র অব্যাহত ব্যর্থতাকেই নির্দেশ করছে।

 

৯ অক্টোবর ৫০টিরও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং ট্যাঙ্কারকে লক্ষ্য করে বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও, তাতে ইরানের তেল বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়েনি।

আমেরিকান থিঙ্ক ট্যাঙ্ক "ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিজ" (FDD)-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, অক্টোবরে ইরানের তেল রপ্তানি প্রায় ৬ কোটি ৬৮ লাখ ব্যারেলে পৌঁছেছে, যা প্রতিদিন ২.১৫ মিলিয়ন ব্যারেলের সমতুল্য। এই পরিমাণ সেপ্টেম্বরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ফার্স নিউজ এজেন্সি পার্সটুডেকে জানিয়েছে।

 

FDD-এর অনুমান অনুযায়ী, ব্রেন্টের দামে ৫-১০ শতাংশ ছাড় বিবেচনা করেও, অক্টোবরে ইরানের তেল রপ্তানি থেকে মোট ৩.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪.২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে রাজস্ব আয় হয়েছে।

 

রপ্তানি হওয়া মোট তেলের প্রায় ৮৯.৮ শতাংশই ছিল অপরিশোধিত তেল (প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেল)। এছাড়াও, জ্বালানি তেলের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৯৩,০০০ ব্যারেল এবং গ্যাস কনডেনসেটের পরিমাণ ছিল ২৬,০০০ ব্যারেল।

ট্যাঙ্কারট্র্যাকার্সের তথ্য অনুসারে, চীন ইরানি তেলের প্রধান ক্রেতা হিসেবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে। মোট রপ্তানির ৯০.৬ শতাংশ গেছে চীনে। বাকি পরিমাণ সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে যায়, যেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাত ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরানের তেলের এই অব্যাহত রপ্তানি বৃদ্ধি প্রমাণ করে যে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় তেহরান এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা আমেরিকার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপকে অকার্যকর করে তুলছে।