চট্টগ্রামে চালিতাতলীর কবরস্থানে যখন শেষ মাটি পড়ছিল সরোয়ার বাবলার কাফনে, ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকার আকাশে উড়ছিল গুলিবিদ্ধ বি.এন.পি নেতা এরশাদ উল্লাহকে বহনকারী হেলিকপ্টার। একই গুলি। একজনের বুক ছিঁড়ে জীবন বাঁচানোর লড়াই, আরেকজনের মাথা ভেদ করে সরাসরি কবর।
সরোয়ার একদিন শি.বিরের হাত ধরেছিল, মাঝে যুব.লী.গের ছায়া খুঁজেছে, পরে যুব.দ.লের ‘ভাই’ হয়েছে। বি.এন.পি নেতা আসলাম চৌধুরী থেকে এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ান— যারই ‘দরকার’ হয়েছে, বাবলা ছায়া হয়ে হাজির থেকেছে। সবাই ব্যবহার করেছে তাকে, কিন্তু শেষ বিদায়ের মুহূর্তে পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। কোনো শোক নেই। নেতার স্ট্যাটাস নেই। প্রিয় অভিভাবক আর প্রিয় ‘বড় ভাই’রাও নেই।
যখন দরকার ছিল, তখন ‘ভাই’, ‘সাথী’, ‘কর্মী’। আর যখন সময় শেষ, তখন এক শীতল নীরবতা। কারণ? তার ব্যবহার শেষ।
এটাই হলো রা.জ.নীতির ময়দানে ব্যবহৃত হওয়া এক বাবলার নির্মম এবং অনিবার্য গল্পের শেষ লাইন। তাকে ব্যবহার করেছে সবাই, কিন্তু মরতে হলো তাকে একা!
-হোসাইন তৌফিক ইফতেখার, সাংবাদিক।