
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আজ সোমবার গণমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, দৈনিক ইনকিলাবের ১৫ সেপ্টেম্বর সংখ্যার প্রথম পাতায় ‘জামায়াত সরকারে আসতে পারলে কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার অস্তিত্ব রাখবে না’ শিরোনামে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অসত্য ও মনগড়া। তার এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তার মতো একজন বরেণ্য আলেমের মুখে এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য শোভা পায় না। আমি তার এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জুবায়ের আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও ইসলামি ধারার রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছে। জামায়াতের বহু নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষী কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতা বা কর্মী কোনো দিন কওমি, দেওবন্দি কিংবা সুন্নিয়াত মাদ্রাসার বিরোধিতা করেছেন—এমন প্রমাণ নেই।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর দুজন মন্ত্রী ক্ষমতায় ছিলেন। তারা কওমি, দেওবন্দি ও সুন্নিয়াত মাদ্রাসার বিরোধিতা করেছেন, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না। বরং তারা ওই ধরনের মাদ্রাসাকে মুক্তহস্তে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর আশঙ্কা অসত্য ও অমূলক। অতএব এ ধরনের প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অসত্য ও মনগড়া মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।