
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এমনকি সংবিধান বাতিল করে গণপরিষদ নির্বাচন দিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, আবু সাঈদ আমাদের দ্রোহের প্রতীক। তার কবরের পাশ থেকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখি। আমরা আবু সাঈদের কবর ছুঁয়ে শপথ করছি— যতক্ষণ না নতুন বন্দোবস্তের ভিত্তিতে, মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠিত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে দেশ গড়ার জুলাই পদযাত্রার সূচনা আমরা করলাম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে। হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ ও রক্তদানের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করেছি। এজন্য অবশ্যই পুরনো কাঠামো ভেঙে নতুন বন্দোবস্ত নির্মাণ করতে হবে, মৌলিক সংস্কার আনতে হবে।
আখতার বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা হামলা চালিয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে—তাদের বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পুরনো ‘মুজিববাদী’ সংবিধান বাতিল করে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সব মিলিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে হবে
এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় দরটির আহ্বায়াক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চল মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চল মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মাহমুদা মিতু সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন।
পরে নেতৃবৃন্দ শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
কবর জিয়ারতের মাধ্যমেই শুরু হয় ‘বেশ করতে, দেশ গড়তে’ শীর্ষক জুলাই পদযাত্রা। গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ হয়ে পদযাত্রা রংপুরে পৌঁছায়। নগরীতে পদযাত্রা শেষে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। পরে তারা কাউনিয়ায় পদযাত্রায় অংশ নেবেন।