Image description

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এখনও ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি হচ্ছে। আর এই চাপ সবার ওপর পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষ। তাই চাঁদাবাজদের কোনো প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা কোনো দলের নাম নিয়ে বলছি না। যারাই এই কাজে জড়িত, তা বন্ধ করুন। নয়তো আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের নেতারা ফাঁসির কাষ্ঠে গিয়েও কোনো মাথা নত করেননি। আমাদের জন্য এটাই তাদের সবক। একুশের এই দিনে আমরা নতুন করে সবক নিচ্ছি যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা কোনো মাথা নত করবো না।

এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার গঠনের আগে ৫ তারিখে আমরা সব বন্দিকে মুক্তি দিতে বলেছিলাম। বিগত জালেম সরকারের সবচেয়ে জুলুমের শিকার একজন কেন এখনও জেলে থাকবেন। এজন্য আমি ২৫ তারিখে স্বেচ্ছায় জেলে যেতে চেয়েছি। পরে আমার সহকর্মীরাও যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন নায়েবে আমির অ্যাড. ড. হেলাল উদ্দিন, সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে, মহান একুশে উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুরানা পল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কার্যালয়ের সামনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়।