মোহাম্মদ সুবাইল বিন আলম
ভুমিকম্প নিয়ে বাংলাদেশজাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এখন পর্যন্ত যে পরিকল্পনা জানা গেলো - তার তুলনামুলক আলোচনা:
বিএনপি:
১) ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থায়ী রেসকিউ সেন্টার থাকা উচিত। স্থানীয় জনগণের পাশে ২৪ ঘণ্টা থাকার মতো ড্রোন, প্যারামেডিকস, অ্যাম্বুলেন্স, হেলিকপ্টার ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
আমার মত: এই জিনিস নিয়ে আমি লিখেছি। পুরা দেশই ঝুকিপূর্ণ, তাই অন্তত উপজেলা লেভেলে থাকতে হবে।
আমার মত: এই জিনিস নিয়ে আমি লিখেছি। পুরা দেশই ঝুকিপূর্ণ, তাই অন্তত উপজেলা লেভেলে থাকতে হবে।
২) জরুরি উদ্ধার সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্ধার বাহিনী গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।
আমার মত: এটা নিয়েও আমার লেখা ছিলো। আমলাতান্ত্রিক দেশে টাস্ক ফোর্স ব্যবস্থা ছাড়া দ্রুত কাজ করা যায় না।
৩) যে সব ভবন ভূমিকম্প ও অগ্নিনিরাপত্তার নিয়ম না মেনে তৈরি সেসব শনাক্ত করে কঠোর নজরদারিতে আনতে হবে। নতুন ভবন নির্মাণেও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
আমার মত: এটা নিয়েও লিখেছিলাম৷ নতুন বাড়িতে সম্ভব, পুরাতন বাড়িতে রেট্রোফিটিং এর খরচের ব্যাপারে পরিকল্পনা থাকা উচিত।
আমার মত: এটা নিয়েও লিখেছিলাম৷ নতুন বাড়িতে সম্ভব, পুরাতন বাড়িতে রেট্রোফিটিং এর খরচের ব্যাপারে পরিকল্পনা থাকা উচিত।
৪) রাজধানীর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমাগত নিচে নেমে যাচ্ছে যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। ভরাট খালগুলো পুনরুদ্ধার এবং প্রয়োজনে নতুন খাল খনন করা ভূগর্ভস্থ চাপ কমাতে ও দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমার মত: অবশেষে কোন দলীয় প্রধান এরকম ক্রিটিক্যাল বিষয় এড্রেস করেছেন। এটা নিয়ে তো লিখেই যাচ্ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ৷ শুধু খাল খনন না, পুকুর ফিরিয়ে আনতে হবে, রাস্তার পাশে মাটি ফিরিয়ে আনতে হবে।
আমার মত: অবশেষে কোন দলীয় প্রধান এরকম ক্রিটিক্যাল বিষয় এড্রেস করেছেন। এটা নিয়ে তো লিখেই যাচ্ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ৷ শুধু খাল খনন না, পুকুর ফিরিয়ে আনতে হবে, রাস্তার পাশে মাটি ফিরিয়ে আনতে হবে।
জামাত:
১। ঢাকায় পরিকল্পিতভাবে ঘনবসতি কমানো হবে।
আমার মত: কিভাবে? ডি সেন্ট্রালাইজেশন? তাও তো বিল্ডিং কমানো যাবে না। বিএনপির ৩১দফাতে ডিসেন্ট্রালাইজেশনের কথা আছে। জামাত কি প্ল্যান থেকে বলছে - স্পেসিফিক করা উচিত।
১। ঢাকায় পরিকল্পিতভাবে ঘনবসতি কমানো হবে।
আমার মত: কিভাবে? ডি সেন্ট্রালাইজেশন? তাও তো বিল্ডিং কমানো যাবে না। বিএনপির ৩১দফাতে ডিসেন্ট্রালাইজেশনের কথা আছে। জামাত কি প্ল্যান থেকে বলছে - স্পেসিফিক করা উচিত।
২। নতুন যত দালান-কোঠা নির্মান হবে, সবগুলোই 'বিল্ডিং কোড' মেনে হবে, এটা আমরা নিশ্চিত করব।
আমার মত: দুই দলই এক মত। এই রাজউক দিয়ে কি সম্ভব?
আমার মত: দুই দলই এক মত। এই রাজউক দিয়ে কি সম্ভব?
৩। অতি পুরাতন ও জরাজীর্ণ দালান-কোঠা পুননির্মাণ নিশ্চিত করা হবে।
আমার মত: এটা বিএনপির থেকে স্পেসিফিক। কিন্তু কিভাবে? সেই আগের প্রশ্ন- টাকা কে দিবে?
আমার মত: এটা বিএনপির থেকে স্পেসিফিক। কিন্তু কিভাবে? সেই আগের প্রশ্ন- টাকা কে দিবে?
৪। ভূমিকম্প বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বাড়ানো হবে।
আমার মত: এটা সবার দ্বায়িত্ব। জেনেরিক কথা, পরিকল্পনাতে আসার মতো পয়েন্ট না।
আমার মত: এটা সবার দ্বায়িত্ব। জেনেরিক কথা, পরিকল্পনাতে আসার মতো পয়েন্ট না।
৫। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হবে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে।
আমার মত: এটা করা যেতে পারে। যদিও পুর্বাভাস পাওয়া যাবে ম্যাক্সিমাম ২০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট আগে। কোন এক দেশে আমি এরকম সিগনাল পেয়েছিলাম, ম্যাসেজ পড়তে পড়তেই ভুমিকম্প শুরু হয়ে যায়। তাই কতটা ইম্পেক্ট ফেলবে সন্দিহান।
আমার মত: এটা করা যেতে পারে। যদিও পুর্বাভাস পাওয়া যাবে ম্যাক্সিমাম ২০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট আগে। কোন এক দেশে আমি এরকম সিগনাল পেয়েছিলাম, ম্যাসেজ পড়তে পড়তেই ভুমিকম্প শুরু হয়ে যায়। তাই কতটা ইম্পেক্ট ফেলবে সন্দিহান।
৬। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহর রহমত ও দয়া। সর্বস্তরের জনগণ আল্লাহমুখী হলে আল্লাহই আমাদের রক্ষা করবেন। তিনিই সকলের রক্ষাকর্তা।
আমার মত: এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই। তবে নিশ্চয় আল্লাহ হাত গুটিয়ে রাখা পছন্দ করে না।
আমার মত: এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই। তবে নিশ্চয় আল্লাহ হাত গুটিয়ে রাখা পছন্দ করে না।
দুই পক্ষ থেকেই আর ও স্পেসিফিক প্রস্তাবনা চাই। কারন লড়াই হতে হবে ভালোর সাথে ভালো। কার প্রস্তাবনা আমাদের জন্য বেশি ইফেক্টিভ? আপনারা বুঝে নেন।
লেখক: মোহাম্মদ সুবাইল বিন আলম, টেকসই উন্নয়নবিষয়ক কলামিস্ট