কারো সন্তান হলে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এ দোয়াটি পড়ুন:
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِي الْمَوْهُوبِ لَكَ، وَشَكَرْتَ الْوَاهِبَ، وَبَلَغَ أَشُدَّهُ، وَرُزِقْتَ بِرَّهُ
উচ্চারণ: বারাকাল্লাহু লাকা ফিল মাউহুবি লাকা ওয়া শাকারতাল ওয়াহিবা ওয়া বালাগা আশুদ্দাহু ওয়া রুযিকতা বিররাহু।
অর্থ: আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছেন তাতে আপনার জন্য বরকত দান করুন, সন্তান দানকারীর শুকরিয়া আদায় করুন, সন্তানটি পরিণত বয়স লাভ করুক এবং আপনি তার সদাচার লাভ করুন। (হিসনুল মুসলিম)
হাসান বসরি (রহ.) কেউ সন্তান জন্মগ্রহণের সংবাদ দিলে এভাবে দোয়া করতেন বলে বর্ণিত রয়েছে।
সন্তান আল্লাহর বড় নেয়ামত
সন্তান আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। দুনিয়ার জীবনে সন্তান যেমন চোখের শীতলতা ও দুর্বলতায়, বার্ধক্যে ভরসা হয়, সন্তানকে নেক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সে দুনিয়া ও আখেরাতে সওয়াবের কারণ হয়। মৃত্যুর পরও নেক সন্তানের কারণে মানুষের সওয়াব জারি থাকে।
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, আদম সন্তান যখন মারা যায়, তখন তার তিন প্রকার আমল ছাড়া অন্য সব আমলের ধারা বন্ধ হয়ে যায়; ১. সদকায়ে জারিয়া (ফায়েদা অব্যাহত থাকে এ রকম সদকা যেমন মসজিদ নির্মাণ করা, কূপ খনন করে দেওয়া ইত্যাদি) ২. ইলম বা জ্ঞান যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হতে থাকে ৩. নেক সন্তান যে তার জন্য নেক দোয়া করতে থাকে। (সহিহ মুসলিম)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, কোনো কোনো ব্যক্তি জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা লাভ করে বলবে আমার এত মর্যাদার অধিকারী কীভাবে হলাম? তাকে বলা হবে, তোমার জন্য তোমার সন্তানের দোয়া ও ইস্তেগফারের কারণে তুমি এত মর্যাদা পেয়েছ। (সুনানে ইবনে মাজা, মুসনাদে আহমদ)
তাই যখন কারো সন্তানের জন্ম হয়, তার উচিত খুশি হওয়া এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা ও তাঁর প্রশংসা করা। পবিত্র কোরআনে ইবরাহিম (আ.) সম্পর্কে বলা হয়েছে, সন্তান লাভ করার পর তিনি বলেন, সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ইসমাইল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দোয়া শ্রবণকারী। হে আমার রব, আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব! আর আমার দোয়া কবুল করুন। (সুরা ইবরাহিম: ৩৯-৪১)