পরাজিত শক্তি, ফ্যাসিস্ট ও টেরোরিস্টদের অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, 'ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। যারা অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করব।'
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
সবাইকে সংযম বজায় রাখা ও অপপ্রচার বা গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এ দেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনোদিন ফিরে আসবে না।
বীর শহীদদের স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে ওঠা
স্বাধীনতার নতুন সূর্য স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদে ম্লান হয়েছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি।
শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়; এটি বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত, আমাদের গণতান্ত্রিক পথচলার ওপর আঘাত। সরকার এ ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। হামলায় জড়িতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গেছে। যারা এ ষড়যন্ত্রে জড়িত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
হাদির চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর কথা জানিয়ে দেশবাসীর কাছে দোয়া চান প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেন, এখন তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো-জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, একটি জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। অন্তর্বর্তী সরকার উন্নত ও সুশাসিত দেশের শক্তিশালী ভিত গড়তে বিস্তৃত সংস্কার কর্মসূচি নিয়েছে, জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণে তার সফল পরিসমাপ্তির পথে
