ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এবং চলবে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণভোটের ব্যালট হবে গোলাপি রঙের। একাধিক ভোটারকে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট—দুটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে।
গণভোটে ভোটারদের প্রশ্ন থাকবে—‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবসমূহের প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’ প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে:
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী গঠন করা।
আগামী জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট, যেখানে উচ্চকক্ষে ১০০ সদস্য থাকবেন এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অনুমোদন প্রয়োজন।
সংসদে নারী প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সহ ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যকর করা।
জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রত্যেক প্রস্তাবের ওপর ভোটারদের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, আপিলের শেষ সময় ১৮ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে।
দেশজুড়ে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ হবে।