Image description

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, এবারও জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবে। কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠান করে বই বিতরণ করা হবে না। বই সরাসরি প্রতিটি বিদ্যালয়ে পৌঁছে যাবে। 

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার নতুন পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ কার্যক্রম প্রায় শেষ। জেলা পর্যায়ে বেশিরভাগ বই পৌঁছে গেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার উদ্দেশ্য অনেক বড়। এর উদ্দেশ্য শুধু জিপিএ ফাইভ অর্জন অথবা ভাল ফলাফল করা নয়, বরং এটা শিক্ষার একটি ক্ষুদ্র অংশ। শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিশুর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে শিশুকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।

সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো: শামসুজ্জামান, পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নানের সভাপতিত্বে প্রাথমিক শিক্ষা, চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি প্রথমবার বই উৎসব করে তৎকালীন সরকার। এরপর টানা ১৫ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথমদিনে উৎসব করে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে।

 

তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেড় দশকের সেই রীতি পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে ২০২৫ সালে বই বিতরণে ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ’ এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে ঘটা করে ‘বই উৎসব’। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালেও উৎসব করে নতুন বই দিচ্ছে না সরকার।